• লিড

    দ: সুনামগঞ্জে চাঁদাবাজ রোমান বাহিনীর হাতে ইউপি যুবলীগ সভাপতি সাহাবুল গুরুত্ব আহত! থানায় অভিযোগ দায়ের

      প্রতিনিধি ১ জুন ২০২০ , ৩:৩২:৩১ অনলাইন সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার।।  সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের প্রতারক চক্রের সদস্য ও নামধারী যুবলীগ নেতা জয়সিদ্বি গ্রামের আজিজুল হকের পুত্র রোমান হোসেনের বাহিনীর হাতে গুরুত্ব আহত হয়েছেন একই গ্রামের বশির উদ্দীনের পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাহাবুল আমিন ।

    এ বিষয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় প্রতারক রোমান হোসেনকে প্রধান আসামী করে তার বাহিনীর সদস্যদের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন আহত সাহাবুল আমিন। মামলা সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের পানি উন্নয়ন বোড উপজেলার সাংহাই হাওরে ৪১ নং পি আইসির কাজ ভালো করে সম্পন্ন করেন,। সাহাবুল আমীন । প্রতারক নোমান হোসেন নিজেকে উপজেলা যুবলীগের নেতা দাবী করে তার বাহিনীদের নিয়ে সাহাবুলের কাছে মোটা অংকের টাকা চাদা দাবী করেন। সাহাবুল একটা খড়ি পয়সা দিতে নারাজি প্রকাশ করলে রুমান হোসেন ও তার বাহিনী সাহাবুলকে দেখে নেওয়ার ভয়ভীতি দেখান। সাহাবুল মিয়া বিষয়টি গ্রাম্য সালিস ব্যাক্তিদের অবগত করলে সালিশ ব্যাক্তিগণ রুম্মান হোসেনকে ডাকলে রুম্মান হোসেন ও তার বাহীনির সদস্য সালিস ব্যাক্তিদের ডাকে সাড়া না দিয়ে উল্টো বৃদ্বা আঙ্গুলী দেখিয়ে সাহাবুল কে প্রাণে মারার হুমকি ও দিয়েছিলো । সাহাবুল মিয়া রুম্মান হোসেন ও তার বাহিনীর উপর দায়েরকৃত মামলার এজহারে উল্লেখ করেন। গত পহেলা রমজান পাথারিয়া বাজার থেকে বাজার সদাওদা করিয়া বাড়ীতে আসার সময় বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে রুম্মান হোসেন তাহার বাহিনীদের হাতে থাকা লোহার শাবল ধারালো রামদা রড দিয়ে অতর্কিত ভাবে প্রাণে মারার উদ্দেশ্য সাহাবুলের উপর নির্যাতন শুরু করেন। সাহাবুল তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। সাহাবুলের সুর চিৎকারে আশ-পাশের মানুষ এগিয়ে আসলে রুম্মান ও তার বাহিনী পালিয়ে যায়। পরে আত্মীয় স্বজন তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সাহাবুল মিয়া নিরুপায় হয়ে গত ২৬/০৪/২০২০ ইং তারিখে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় প্রতারক রুম্মানকে প্রধান আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৬ – (১) রুম্মান হোসেন, পিতা মৃত আজিজুল হক, (২) সামছুন নূর, পিতা,মৃত সমুজ আলী, (৩) রায়হান পিতা আখলু মিয়া, (৪) ইলিয়াছ, পিতা মৃত মশরফ আলী, (৫) সুহেল মিয়া, পিতা আখলু মিয়া, (৬ ) মিজান মিয়া পিতা আখলু মিয়া, (৭) চন্দন মিয়া, পিতা কনা মিয়া, (৮) কাওসার মিয়া, পিতা ফয়জুর রহমান, (৯) নজরুল ইসলাম, পিতা মৃত আজর, (১০) বোরহান উদ্দিন, পিতা ইলয়াছ মিয়া,(১১) আলী রব, (১২) সালেহ আহমদ, পিতা এখলাছ মিয়া,১৩ মুস্তাক মিয়া, পিতামৃত আজিজুল হক,১৪ ছব্বির আহমদ পিতা, ওয়াখলিছ মিয়া, (১৫) ওয়াখলিছ মিয়া পিতা মৃত ওয়াতির উল্লাহ, (১৬) আখলু মিয়া, পিতা মৃত সুনাহর আলী। সর্ব সাং জয়িসিদ্বি এদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলা সুত্রে আরো জানা যায়, রুম্মান হোসেন একজন প্রতারক চক্রের সদস্য সে বিভিন্ন ধরণের প্রতারনার জন্য এলাকার সাধারণ মানুষজনের হাতে লাঞ্চিত হয়ে কয়েক বার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্রে চলে যায়। এলাকার সালিস ব্যাক্তিগণ ও রুম্মান হোনের বিষয়ে অনেক গ্রাম্য পঞ্চায়েত করিয়াছেন। সে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে একাধিক জায়গা দক্ষিণ সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগের অঙ্গ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে চাদাবাজি ও প্রতারণা করিয়েছে, এ বিষয় নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা-কর্মী ও বিচার আচার করিয়েছেন। গত ফাল্গুন মাসে হাওর রক্ষা বাধ এলাকায় নির্মান দেখে চাদাবাজীর লক্ষ্যে জয়সিদ্বী গ্রামের সামছুন নূর সহ মামলায় উল্লেখিত আসামীদেরকে নিয়ে এলাকায় তার একটি বাহিনী তৈরী করে হাওর রক্ষা বাধের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে সে তার বাহিনী নিয়ে বাধে বাধে গিয়ে উপজেলা যুবলীগের নেতা দাবী করে মোটা অংকের টাকা তাহাদেরকে দেওয়ার প্রস্তাব দিতো। একের পর সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হুমকি ধামকী দিয়ে টাকা নেওয়াই ছিল তাদের কাজ। কেচু কাটতে যখন হাত বাড়ে কাহিনীর মতো ছিলো রুম্মান ও তার বাহিনীর কর্ম কান্ড। সাহাবুল মিয়ার পি আইসিতে গিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবীর পর সাহাবুল টাকা দিতে না রাজি প্রকাশ করাই ছিল সাহাবুলের অপরাধ। একের পর এক রুম্মাহ ও তার বাহিনীর আক্রমণের শিকার নিরীহ সাহাবুল। এদের আক্রমণে পা হারিয়ে সাহাবুল বিছানায় মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। সাহাবুলের কন্যা সন্তান জানান, আমার আব্বুর অবস্থা মোটেই ভালো নয়। রুম্মান ও তার বাহিনী আমার আব্বুর পা ভেঙে দিয়েছে। উনি পায়ের হাড় ভাঙা ব্যথা নিয়ে ছটফট করছেন। আমরা রুম্মান ও তার সন্ত্রাস বাহিনীর উর্ধতন প্রশাসনের কর্মকর্তা নিকট বিচার চাই। অবিলম্বনে তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
    জয়সিদ্বী গ্রামে লিচু মিয়া নামের একজন মানুষ জানান, রুম্মান ও তার বাহিনীর বিভিন্ন অপকর্মের অতিষ্ঠ আমাদের এলাকার নিরীহ মানুষজন। সে আমাদের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী মহোদয়ের দোহাই দিয়ে আমাদের এলাকার স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রীদের চাকরি দিবে বলে অনেক জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। সে এই টাকা নেওয়ার অপরাধে নাকি সুনামগঞ্জ দু/ একবার সাধারণ মানুষের কাছে লাঞ্চিত হয়েছে। বিগত বছর খানেক আগে আমাকে দুইটি পানির টিবওয়েল দিবে বলে আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নিয়েছে। আজ প্রায় দু বছর পেরিয়ে গেলেও আমার টিবওয়েলের কোন খবর পাই নি। সে সুনামগঞ্জ থেকে এসে আমাদের এলাকার সামছুন নূর সহ দাঙ্গাবাজ কয়েকজন লোকদের নিয়ে একটি বাহিনী তৈরী করে সরকারি ও বেসরকারি গ্রামের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে নগদ টাকা দাবী করে। সে সাহাবুলের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করেছিলো । সাহাবুল তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই সে তার বাহিনী দিয়ে সাহাবুলের উপর এই অমানবিক নির্যাতন করে। এই অমানবিক নির্যাতন দেখে আমরা আতংকিত। আমরা এদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের কাছে করজোড়ে নিবেদন করছি।

    এব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি’র হারুন অর রশীদ চৌধুরী বলেন,মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি ভালো খতিয়ে দেখা হবে।
    নাইম তালুকদার
    ০১/০৬/২০২০ খ্রী…

    আরও খবর

    Sponsered content