প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২০ , ৭:৩৪:১৭ অনলাইন সংস্করণ
শফিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধি।। তাহিরপুরের সবকটি নদ-নদী ও হাওরে তরতর করে পানি বাড়ছে। ইতিমধ্যে পানির নীচে তলিয়ে গেছে অর্ধশতাধিক রাস্তা -ঘাট ও ঘর-বাড়ি।
মহামারী করোনাভাইরাস এর চলমান দুর্যোময় সময়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ছে তাহিরপুরের অর্ধশতাধিক পরিবার।
আজ শনিবার (২৭ ই জুন) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিগত কয়েক দিন ধরে থেমে থেমে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার পাশা-পাশি মেঘালয় পাহাড়ী ঢল উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পাশা-পাশি খাল-বিল এবং হাওর গুলোতে তরতর করে পানি বাড়ছে।
বাড়ীর আঙ্গিনায় পানি ছৌই ছৌই। পানির নীচে তলিয়ে গেছে রাস্তা -ঘাট। উপজেলা ছোট ছোট বাজারগুলিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী পানি বন্দি হয়ে পরছে বলে জানা যায়।
এখনো বিপদ সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে পানি। তাহিরপুর উপজেলা বাসীর মনে
দেখা দিল অকাল বন্যা এবং শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষ।
এব্যাপারে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বিন্নারব্ন্দ গ্রামের ইয়াকুব হুসেন একাধিক ব্যাক্তি তাদের মতামত ব্যাক্ত করতে গিয়ে বলেন, থেমে থেমে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ার পাশাপাশি মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলের পানিতে নদ-নদী ও হাওরের পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের রাস্তা ঘাট পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
পাহাড়ী টলের পানিতে বাড়ী-ঘরের আঙ্গিনার ধারে কাছে নৌকা যোগে চলাফেরা করছি।
মহামারী করোনাভাইরাস এর দুর্যোগকালীন সময়ে প্রবল বর্ষন আর মেঘালয়ের পাহাড়ি ঢলের পানি যাদুকাটা নদী দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আগাম বন্যা এবং সাধারণ মানুষে মনে বিরাজ করছে কখন জানি হাঁস,মোরগ,এবং গবাদি পশুসহ অনাহারে থাকতে হয় পানিবন্দি অবস্থায়।