প্রতিনিধি ১৬ জুন ২০২০ , ৩:৩৬:৪৩ অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও মাহমুদ আহসান হাবিব।।
উত্তরের কৃষি স্বনির্ভর জেলা ঠাকুরগাাঁও। দেশের মোট ধান ও গম সহ অন্যান্ন ফসলের বড় একটা অংশ উৎপাদন হয় এ জেলায়।
চাতালের অপ্রতুলতা থাকায় বিভিন্ন ফসলের মৌসুমে জেলার অভ্যন্তরিন সড়ক গুলিতেই চলে ধান মাড়াই আর শুকানোর চাতালের কাজ। ফলে এখানকার সড়কগুলো যেন পরিনত হয়েছে এক একটি মৃত্যুফাঁদে ।
এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন এ জেলার সচেতন মহল। চাতালের কাজে ব্যাবহৃত এসব সড়কের মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগঁাও – গড়েয়া সড়ক, ঠাকুরগঁাও – পীরগঞ্জ সড়ক, ঠাকুরগঁাও – বালিয়াডাঙ্গী সড়ক, বালিয়াডাঙ্গী – রানিশংকৈল সড়ক। এদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও-বালিয়াডাঙ্গী ও বালিয়াডাঙ্গী – রানিশংকৈল সড়ক অন্যতম।
ঠাকুরগাঁও রোড এলাকা পার হলেই চোখে পড়বে বিভিন্ন উপজেলাতে যাবার সড়ক গুলির উপরেই চলছেযেখানে সেখানে ধান মাড়াইয়ের কাজ । এর পরে আবার চলে সেগুলো শুকানোর কাজ। চাতালে অপ্রতুলতা থাকায় চাতাল ভাড়া বেশি হওয়ার কারনে কৃষকরা চাতাল ভাড়া বাচার জন্য মহাসড়কেই এসব ধান
মাড়াই ও শুকানোর কাজ করছেন। এতে করে সংকীর্ন হয়ে পড়ছে সড়কগুলি।
সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে যানবাহন চলাচলে । এর মধ্যে এসব সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে গিয়েছে ছোট-মাঝারী ধরনের দুর্ঘটনা।
জেলার বিভিন্ন মহাসড়কে দেদারছে চলছে ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ। এ জাতীয় কাজ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এ জেলার সাধারণ মানুষ। তারা অবিলম্বে এ জাতীয় কাজ বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
ঠাকুরগঁাওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, বিগত সময়ে আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ক ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেছি। বিভিন্ন সময়ে অনেককে সাবধানও করেছি। কিন্তু তারা
আবারো একি কাজ করছে। এবারে আমরা জরিমানার ব্যাবস্থা রেখে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো বলে মনে করছি।