• মৌলভীবাজার

    কুলাউড়া দিঘলকান্দি ফটিগুলী রাস্তার চরম বেহালদশা….

      প্রতিনিধি ২৭ জুন ২০২০ , ৬:৪১:১৮ অনলাইন সংস্করণ

    ইকবাল হোসেন রিজন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:: কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের দিগলকান্দি-ফটিগুলী কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশা। তিন কিলোমিটার এই সড়কে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই। বৃষ্টি হলে কাদা পানিতে চলাচলকারী মানুষ জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। এ কাঁচা রাস্তা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তার করুণ অবস্থা দেখার যেন কেউ নেই। রাস্তাটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে পুরনো একটা রাস্তা। এই রাস্তা দিয়ে চার গ্রামে ১০ সহস্রাধিক মানুষের চলাচল। দিগলকান্দি, পূর্ব ফটিগুলী, ফটিগুলী ও বুধপাশা গ্রামের চলাচলের একমাত্র এই রাস্তাটি কাঁচা।

    এই রাস্তা পাকা করার দাবি স্থানীয় এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দিগলকান্দি-ফটিগুলী কাঁচা রাস্তা বৃষ্টি হলেই একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। বৃষ্টির ফোটা পড়ার পরেই কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। প্রচণ্ড এ কাদায় চলতে গিয়ে অনেকেই পড়ে গিয়ে গন্তব্যে যাবার আগেই বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয়। শিক্ষার্থীরা সময়মতো স্কুল কলেজে যেতে পারে না। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে কাঁচা রাস্তা ব্যবহার করে দিগলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফটিগুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব ফটিগুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রহমদাবাদ মাদ্রাসা, আল রাহমানিয়া মাদ্রাসা,কর্মধা উচ্চ বিদ্যালয়, হায়দরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, আলী আমজদ স্কুল এন্ড কলেজ ও লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে সময়মতো নিতে না পারায় বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির আশায় বছরের পর বছর ভোগান্তির স্বীকার এসব এলাকার জনসাধারণ স্থানীয় কুলাউড়ার সংসদ সদস্য, কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান এবং মেম্বারের কাছে আবেদন জানালেও রাস্তার কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ রাস্তাটি এ চার গ্রামের মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাস্তাটি পাকাকরণে স্থানীয় এলাকাবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। স্থানীয় দিগলকান্দি-ফটিগুলী গ্রামের বাসিন্দা অ্যাডভোকেট হারিছ আলী, সাইফুর রহমান, মোজাহিদুল ইসলাম, এল এম প্রণয়, আব্দুল বাসিত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বৃষ্টি হলে কাঁচা রাস্তায় কাদাপানি জমে থাকে। তখন রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সময়মতো যেতে পারে না। তারা বলেন, কত রাস্তাই তো ঠিক হয়, কিন্তু আমাদের এ রাস্তাটা পাকা হচ্ছে না কেন, বলতে পারেন? তারা আরো জানায়, দিগলকান্দি গ্রামের সেলিম মিয়ার সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রীকে সময়মতো গাড়ি না পাওয়ায় হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রসববেদনায় মৃত্যু হয়। স্থানীয় এলাকাবাসীর অসুবিধা বিবেচনা করে কাঁচা রাস্তাটি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জন্য তারা কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

    আরও খবর

    Sponsered content