প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২০ , ৮:৩৩:২৯ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্ক।। ১ সপ্তাহের মধ্যে আধ্যাত্মিক নগরী সিলেটে ঘটে গেল দুটি অমানবিক ঘটনা! কয়েক দিন পূর্বে একজন নারী রোগী সিলেটের ৬ টি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে রাত আড়াইটায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেইটে বিনা চিকিৎসায় মারা যান তিনি। এবার ৪ হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান এক ব্যবসায়ী।
দেশের সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও অনেক হাসপাতালই তা মানছে না।
সিলেটের চারটি হাসপাতাল ঘুরে কোনো চিকিৎসা না পেয়ে শুক্রবার মারা গেছেন ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী।
তিনি সিলেট নগরীর কুমার পাড়ার বাসিন্দা। বন্দরবাজারের আরএল ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী তিনি। ইকবাল হোসেনের ছেলে তিহাম হোসেন বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাবার বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। প্রথমেই নগরীর সোবাহানীঘাট এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে অক্সিজেন ব্যবস্থার অনুরোধ করলেও কর্তব্যরতরা নিয়মকানুন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে তারা বাবাকে রাখবেন না বলে জানিয়ে দেন। নর্থ-ইস্ট হাসপাতালে নিতে বলেন। পরে বাবাকে দক্ষিণ সুরমার নর্থ-ইস্ট হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানায় তাদের হাসপাতালে সিট নেই। তাই রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। তখন আমরা পরিচিত এক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। ওই চিকিৎসকের পরামর্শে শহীদ ডা. শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সবকিছু বন্ধ পাওয়া যায়। প্রায় ১৫ মিনিট পর এক নিরাপত্তাকর্মী এসে জানান, হাসপাতালের সবাই ঘুমিয়ে রয়েছেন। বাবাকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে বলেন। এরপর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে তারা সিসিইউতে নিয়ে ইসিজি করেন। এরপরই হাসপাতালের ইর্মাজেন্সিতে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে একইভাবে মারা যান দুই নারী। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিলেও কার্যত কিছুই হচ্ছে না। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ সিলেটের সচেতন মহল। জানতে চাইলে শামসুদ্দিন হাসপাতালের আরএমও, সিলেটের সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।