• করোনা ভাইরাস নিউজ

    শিশুর মানষিক বিকাশে যেনো ব্যাঘাত না আসে করোনার কালেঃ—- ফারজানা মৃদুলা

      প্রতিনিধি ১২ মে ২০২০ , ১১:১২:৪২ অনলাইন সংস্করণ

    ফারজানা মৃদুলাঃ করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক পাল্টে দিয়েছে আমাদের রুটিনবাঁধা স্বাভাবিক জীবন। বড় কিংবা ছোট সবার মধ্যেই অজানা এক ভীতি ঘুরে ফিরছে সর্বক্ষণ । কি জানি কি হয় এই চিন্তা যেন বসতি করে নিয়েছে সকলের মনে। শিশুর জীবনযাত্রা কিন্তু অনেক ব্যঘাত ঘটেছে। টিনএজ বয়সীদের ক্ষেত্রে ও একই অবস্থা। বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো , স্কুল / কলেজ এ না যেতে পারা ছুটির দিন একটু বিনোদন ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞজনেরা মনে করেন, শিশুর মনোজগতে করোনা দীর্ঘ মেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এতে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ বাঁধাগ্রস্ত হবে। এমন অবস্থায় পরিবারে বড়দের শিশুদের পাশে থেকে কোয়ালিটি সময় দেয়ার পরামর্শদেন তারা। আর মনোবিজ্ঞানী বলছেন নিজে ভালো থেকেই শিশুদেরও ভালো সময় দেওয়া সম্ভব।

    শিশু মন মানতে চায় না কোন বাধা কোন সীমাবদ্ধতা । নিজের মত চলতে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে তারা। কিন্তু করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবে গৃহবন্দী হয়ে যেন বিশাল এক পরিবর্তন তাদের ওপর পড়েছে। তারা কিন্তু আমাদের কাছে এই পরিস্থিতিতে নিজেদের না বলা কথা গুলো শেয়ার করতে পারছে না। করোনার এই অস্থির সময় ছোট, বড়, বৃদ্ধ সকলকেই প্রভাবিত করছে। বড়রা যেমন একটা আতঙ্কিত সময় পার করছে, ঠিক তেমনি ছোটদের মনেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। শিশুরা অনেক কোমল মনের হয়, তারাও বিভিন্ন চাপমূলক পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া দেখায়। তাদের আচরনেও অনেক পরিবর্তন আসে এই পরিবর্তন টার
    সময়ে বাচ্চাদের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বা অনুভূতির প্রকাশ কঠোরভাবে না নিয়ে মানবিক হতে হবে। তাদের সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনতে হবে এবং তাদের দিকে আবেগীয় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। অন্য সময়ের তুলনায় এই সময়ে তাদের দিতে হবে বেশি ভালোবাসা ও মনোযোগ।
    এই সময়টা তে তারা যেন মানষিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় এই দায়িত্ব কেবল পরিবারের সকলের।লেখাপড়ার বিষয়টা একেবারেই ভিন্নতা চলে এসেছে স্কুলে যাওয়া প্রাইভেট পড়া সব বন্ধ কিন্তু তারা যেন পিছিয়ে না পড়ে তাই বিপুল উৎসাহ দিয়ে সিলেবাস শেষ করার আগ্রহ বাড়াতে হবে।
    অনলাইনে বা মোবাইলের মাধ্যমে ক্রিয়েটিভ কিছু করার জন্য উৎসাহিত করতে পারেন, বাসার বিভিন্ন জিনিস দিয়ে নতুন কিছু বানানো শেখাতে পারেন, কাগজ দিয়ে অরিগামি বানানো শেখাতে পারেন, আপনার বা বাসার অন্য সদস্যদের ছোটখাটো কোনো কাজে তাকে সাহায্য করার জন্য বলতে পারেন এবং কাজ করার পর অবশ্যই তার প্রশংসা করতে ভুলে গেলে চলবে না।সবাই সুস্থ থাকুন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে নিরাপদে থাকুন এবং মানসিক শক্তি বজায় রাখুন এবং করোনাভাইরাস কালে যেনো শিশুদের মনে বিরুপ প্রভাব না আসে এই বিষয়ে খেয়াল রাখুন ।
    লেখক: কলামিস্ট

    আরও খবর

    Sponsered content