প্রতিনিধি ৬ মে ২০২০ , ১১:৩৫:৪৩ অনলাইন সংস্করণ
বিপ্লব রায় সুনামাগঞ্জ:: চলমান করোনা পরিস্থিতিতে আতঙ্কে কাটছে জনজীবন। দিন দিন করোনা শনাক্তকারীর সংখ্যা বেড়েই উঠছে। সারাদেশ জুড়ে অঘোষিত লকডাউন ঘোষনা করা হলেও সরকারের এসব নির্দেশনা মানছেন না জনগন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার সতর্কতামুলক প্রচার প্রচারণা করা হলে জনগন এসব কিছুর কোনো তোয়াক্কা না করে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখাচ্ছেন।
শাল্লায় এর আগে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। আবার গতকাল হাসপাতালের স্টাফসহ ৫জন করোনায় আক্রান্ত হয়। এনিয়ে মোট ৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তবে হাসপাতাল সুত্রমতে, গত ২২ এবং ২৪ এপ্রিল ৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। এই রিপোর্ট ৪ মে শাল্লা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ৫ জন করোনায় শনাক্ত হয়।
কিন্তু ১৪ দিন পরে এই রিপোর্ট আসায় আতঙ্ক বিরাজ করছে শাল্লাবাসীর মনে। কারন করোনা রিপোর্ট আসার আগে শনাক্তকারীরা অবাধে চলাফেরা করেছে। যার ফলে এই রোগ আরো ছড়িয়েছে বলে ধারনা অনেকেরই।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল লেইছ চৌধুরী বলেন, শাল্লা এখন পুরোপুরি করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে। কারন গতকাল যে ৫জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তারা সবাই অবাধে চলাফেরা করেছে। ১৪ দিন আগে নমুনা পাঠানো হলেও ১৪ দিন পর করোনার রিপোর্ট আসলো। এই ১৪ দিনের মধ্য আরো শতশত লোকের কাছে ছড়িয়ে বলে ধারনা করছে অনেকেই।
এদিকে ৫ জন আক্রান্তকারীর এলাকাকে লকডাউন করা হয়েছে। এমন কি এই এলাকার লোক কোথাও বের হতে পারবেন না এবং এই এলাকায় কেউ যেতেও পারবেন না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন বলেন, আক্রান্তকারীদের এলাকা লাল নিশান টানিয়ে আশপাশের বাড়িগুলো অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এমনকি ডুমরা গ্রাম ও হাসপাতালে কেউ আসা যাওয়া করতে পারবে না। এগুলো লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।