প্রতিনিধি ২৩ মে ২০২০ , ৪:৩৮:৩৩ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বিপর্যন্থ কর্মহীন মানুষদের মাঝে সরকার কর্তৃক ভিজিডি ও ভিজিএফ কর্মসূচীর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা (চাল) অব্যাহত রাখলে গুটি কয়েক র্দুনীতিবাজ জনপ্রতিনিধিদের কারণে সরকারের এই বিশাল সফলতা ¤øান হয়ে যাচ্ছে। তেমনই গরীবদের মাঝে চাল ওজনে কম দেয়ার নজির সৃষ্টি করেছেন সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৩নং ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী কালাচাঁন।
ভুক্তভোগী ইউনিয়নের ছাতারকোণা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে সামছুল আলম, গামাইরতলা গ্রামের আলাল মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম, ইসলামপুর গ্রামের আফছর উদ্দিনের স্ত্রী সহরবানু জানান, ২০১৯ ও ২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে প্রতিজনকে ৩০কেজি করে চাল দেয়ার কথা থাকলে ও ঐ চেয়ারম্যান গত ২১মে তার ইউনিয়নের ৫৭৩ টি পরিবারের কার্ডধারী প্রত্যেককে ৩০কেজি করে চাল দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তিনি প্রতিজনকে ২০ কেজি/২২কেজি ও ২৫ কেজি করে চাল দিয়েছেন ।
এ ব্যাপারে ধনপুর ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্যা মোছাঃ চানবানু চেয়ারম্যান কালাচান মিয়া কর্তৃক কার্ডধারী প্রতিজনকে ওজনে চাল কম দিয়ে তিনি নিজেই বাকি সব চাল আত্মসাধ করেছেন। ওজনে চাল কম দেয়ার বিষয়টি প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান ও তার লাঠিয়াল বাহিনী ঐ ইউপি সদস্যাকে মারার জন্য তেরে আসনে। পরে উপস্থিত লোকজন চেয়ারম্যানকে প্রশমিত করেন। খবর পেয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দৈনিক সুনামগঞ্জ বাণী ২৪ ডটকমের সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের একাধিক সদস্যদের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। তখন এই সংবাদকর্মী চেয়ারম্যান হযরত আলী কালাচাঁন এর নিকট ওজনে চাল কম দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ঐ সংবাদকর্মীর সাথে অশালীন আচরণ করেন।
এ ব্যাপারে ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী কালাচাঁন তার বিরুদ্ধে ওজনে চাল কম দেয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করেন এবং আর কোন উত্তর না দিয়েই ফোনের লাইনটি কেটে দেন।