প্রতিনিধি ২০ মে ২০২০ , ৪:১৮:৩২ অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার।। বৈশ্বিক মহামারি করোনা মহাদুর্যোগে সরকার দেশের ৫০ লাখ প্রান্তিক জনগণের মাঝে ঈদ উপহার হিসাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রুপালী ব্যাংক শিউর ক্যাশের একাউন্টের মাধ্যমে ২৫০০/- টাকা করে জনপ্রতি দেওয়া শুরু করেছে। সরকারের উদ্যোগ নিঃসন্দেহে ভালো ও প্রশংসনীয়।
কিন্তু করোনার এ-ই ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ত্রাণের চাল ও টাকা চুরি থেমে নেই।
নগদ ২’৫০০/- টাকার তালিকায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সারাদেশেই কমবেশি ওঠেছে।
এর আগে বাছাই প্রক্রিয়া ও তালিকা করে সঠিক লোক (এরই মাঝে যারা সরকারি ভাতা অথবা অন্যান্য সাহায্য পায়) তাদের বাদ দিয়ে স্হানীয় সরকারের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সংগ্রহ অভিযানে যুক্ত করা হয়েছিল। অভিযোগ ও বাস্তবতা পর্যালোচনা করে দেখা যায় চেয়ারম্যানরা (বেশিরভাগ) তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে তালিকা করেছে। যারা এরই মাঝে একাধিক সুবিধা সরকার থেকে ভোগ করে এবং পুরোপুরিভাবে সচ্ছল জীবন ধারণ করে। যাদের অনেকেরই কোন সরকারি সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন নেই। মেম্বার সম্প্রদায়ের প্রায় সকলেই নিজের বাবা,ভাই,চাচা,শালা,সমন্দিদের দিয়ে তালিকা করে সেই তালিকা জমা দিয়েছে। এমনকি কেউ কেউ বিভিন্ন নাম দিয়ে সেই সব নামের পাশে নিজের মোবাইল নাম্বার সেট করে দিয়েছে।
এমনি অভিযোগ উঠেছে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী চান মিয়া পিতা- মৃত আব্দুল হেকিম, হারিছ মিয়া, পিতা- মৃত- আজমদ আলী উভয় সাং ধাপকাই লিখিত ভাবে দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করেছেন। চাঁন মিয়া ও হারিছ মিয়া-দের নাম ও ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম কৌশলে নিজের মোবাইল ও স্ত্রী’র মোবাইল নাম্বার দিয়েছে যা স্পষ্টত এই টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজানগর ইউপির অনেক ব্যক্তিবর্গ অন্যান্য ওয়ার্ডের তালিকার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন, সেখানে চেয়ারম্যান- মেম্বারদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয় স্বজন সহ অনেক বিত্তশালী ব্যক্তির নামও তালিকায় এসেছে।
বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবরে প্রকাশ ৭নং জগদল ইউপিতেও এক মেম্বার তার অন্তত ১০ জন নিকটাত্মীয়ের নাম দিয়েছে ২৫০০/- টাকার তালিকায়, ৯ নং কুলঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ বিভিন্ন মেম্বারদের বিরুদ্ধেও তালিকায় অনিয়ম এ-র অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়াও তালিকা প্রকাশের পর দিরাই’র প্রায় সবকটি ইউপির বিভিন্ন সদস্যের বিরুদ্ধে জোর অভিযোগ উঠে আসছে।
পত্রিকান্তে এসব খবর একাধিকবার এরই মাঝে প্রকাশ পেয়েছে।