প্রতিনিধি ৭ মে ২০২০ , ৪:৪২:৪৩ অনলাইন সংস্করণ
ফারজানা মৃদুলাঃ আতঙ্কের আর এক নাম করোনা। একের পর এক শহরে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। এই করোনা নিয়ে এখন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন সংক্রমিত মানুষ যতজন মানুষের সংস্পর্শে আসবেন ততজনই আক্রান্ত হবেন। লক্ষণ উপসর্গ ছাড়া কোভিড-১৯ আক্রান্ত একজন কোনও জনসমাবেশ, পোশাক কারখানা বা শপিং মলে গিয়ে যতজনের সংস্পর্শে আসবেন ততজনকেই সংক্রমিত করবেন। এতে করে বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের দীর্ঘমেয়াদি চক্রে যাচ্ছে।
এ থেকে খুব সহজে নিস্তার মিলবে না। আমরা বোধহয় করোনা ভাইরাসের সঙ্গেই বসবাস করতে চাই এবং আপন করে রেখে দিতে চাই। কেননা শপিংমল বিপনি বিতান গুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে তা মনে করাতে বাধ্য করছে জনগন কে।
করোনা কি এতটা বাধ্য ভাইরাস যে কিনা সকাল ১০টা- বিকেল ৫ টার অবদি বিভোর তন্দ্রায় আছন্ন থাকে?
তারপর কোমড়বেঁধে নামে তার সংক্রামন ছড়াতে?
আমরা কি আমন্ত্রণ জানিয়ে পিড়ি পেতে বসতে আরো প্রকোপ করছি না এর ভয়াবহতাকে?
ব্যবসায়ীদের প্রায় দেড় মাস অবদি রুটিরুজির পথ পুরোপুরিভাবে বন্ধ, সংসার চালানো ভীষন কষ্টদায়ক হয়ে পড়েছে ঠিক এই সময়ে সরকারে সিদ্বান্ত যে ১০ মে থেকে শপিংমল/ বিপনীবিতান নিয়মবিধি মেনে সকাল ১০টা-বিকেল ৫ অবদি খোলা রাখা যাবে,এই খবরটি যেন ব্যবসায়ী মহলের জন্য পরম পাওয়া আর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু করোনার ঝুঁকি আমাদের জন্য ভয়াবহ এবং তা ধ্রুবসত্য তা মানতেই হবে।
এক দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণের মধ্যে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।দিনে দিনে বেড়েই চলছে আক্রান্তের সংখ্যা।এমন দিন যেন না আসে বাতাসে লাশের গন্ধে ভরে উঠে আকাশবাতাশ।
লেখক:কলামিস্ট