প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল ২০২০ , ৭:৩৭:১৩ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্ক।। আসন্ন বোরো মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলা থেকে ২৫ হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টন পরিমাণ ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
এজন্য তালিকা প্রকাশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। জেলার পাশাপাশি উপজেলা ভিত্তিক তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যে ধর্মপাশা উপজেলা থেকে ৩ হাজার ৮শত ৩৩ মেট্রিক টন, দিরাই ৩ হাজার ৬শত ৮২ মেট্রিক টন, জামালগঞ্জ ২ হাজার ৮শত ২৮ মেট্রিক টন,তাহিরপুর ২ হাজার ৭৭ মেট্রিক টন, শাল্লা ১ হাজার ৪শথ ০৩ মেট্রিক টন , জগন্নাথপুর ২ হাজার ৬শত ৮ মেট্রিক টন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ২ হাজার ৭শত ৭৫ মেট্রিক টন , সুনামগঞ্জ সদর ১ হাজার ৯শত ৯০ মেট্রিক টন , বিশ্বম্ভরপুর ১ হাজার ২শত ৯৪ মেট্রিক টন , ছাতক ১ হাজার ৮শত ২ মেট্রিক টন এবং দোয়ারাবাজার উপজেলা থেকে ১ হাজার ৫শত ৭৪ মেট্রিক টন পরিমাণ ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাব্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ধান সংগ্রহ চলবে। প্রতি কেজি ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলায় সম্ভাব্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১২ লক্ষ ৩০ হাজার ৯শত ৩৪ মেট্রিক টন। এরমধ্যে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ধানের সম্ভাব্য উৎপাদনের আকার ৯৪ হাজার ৭ শত ২৪ মেট্রিক টন, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় ১ লক্ষ ৩২ হাজার ১৮ মেট্রিক টন, দোয়ারাবাজার উপজেলায় ৭৪ হাজার ৮শত ৮৮ মেট্রিক টন, ছাতক উপজেলায় ৮৫ হাজার ৭শত ৫৪ মেট্রিক টন , জগন্নাথপুর উপজেলায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার ১শত ৩১ মেট্রিক টন , দিরাই উপজেলায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজর ২শত ৪০ মেট্রিক টন, শাল্লা উপজেলায় ৬৬ হাজার ৭শথ ৫৩ মেট্রিক টন, ধর্মপাশা উপজেলায় ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৪শত ৯ মেট্রিক টন, জামালগঞ্জ উপজেলায় ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৫শত ৯২ মেট্রিক টন, তাহিরপুর উপজেলায় ৯৮ হাজার ৮শথ ২৭ মেট্রিক টন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৬১ হাজার ৫শত ৯৮ মেট্রিক টন।
এছাড়াও প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী, সিলেট জেলা থেকে পাঁচ হাজার ৯৯৩ মেট্রিক টন, মৌলভীবাজার জেলা থেকে ছয় হাজার ৬১৮ মেট্রিক টন ও হবিগঞ্জ জেলা থেকে ১৫ হাজার ৭১৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে।
এরমধ্যে সিলেট জেলার উপজেলা ভিত্তিক হিসেব হল, সিলেট সদর ৪১১, বিশ্বনাথ ৫৩৪, ওসমানীনগর ৫৯৮, দক্ষিণ সুরমা ৪২৩, বালাগঞ্জ ৪৪৮, ফেঞ্চুগঞ্জ ২৭৯, কোম্পানীগঞ্জ ৪২৯, গোয়াইনঘাট ৫৯৪, জৈন্তাপুর ৩৭৫, কানাইঘাট ৫৫৪, জকিগঞ্জ ৪৮৯, বিয়ানীবাজার ৪৩৬ এবং গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে ৫২৩ মেট্রিক টন পরিমাণ ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে জুড়ী উপজেলায় ৬৮২, বড়লেখা ৫৫৭, কুলাউড়া ৮৪৭, রাজনগর ১ হাজার ৬৭৪, মৌলভীবাজার সদর ১ হাজার ২০৫, শ্রীমঙ্গল ১ হাজার ১৪৮ এবং কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে ৫০৫ মেট্রিক টন পরিমাণ ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
হবিগঞ্জ জেলার মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলা থেকে ২ হাজার ৩১৮, বাহুবল ১ হাজার ৯৯, আজমিরিগঞ্জ ২ হাজার ২০, বানিয়াচং ৪ হাজার ৭১৬, হবিগঞ্জ সদর ১ হাজার ৫৫০, লাখাই ১ হাজার ৫০৯, চুনারুঘাট ১ হাজার ১৭৫ এবং মাধবপুর উপজেলা থেকে ১ হাজার ৪১৪ মেট্রিক টন পরিমাণ ধান সংগ্রহ করবে সরকার।
তবে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা থেকে কোন ধান সংগ্রহ করা হবে না।
এদিকে গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের সময়ে’ কৃষকেরা যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পান এজন্যে অতিরিক্ত ধানক্রয়ের কথা জানিয়েছেন। কৃষকেরা যাতে উৎপাদিত বোরো ধানের ন্যায্যমূল্য পান, সে জন্য চলতি মৌসুমে গত বছরের চেয়ে দুই লাখ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ধান কেনা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ জন্য অতিরিক্ত ৮৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এই দুঃসময়ে কৃষি উৎপাদনব্যবস্থা শুধু সচল রাখা নয়, আরও জোরদার করতে হবে। সামনের দিনগুলোয় যাতে কোনো প্রকার খাদ্য–সংকট না হয়, সে জন্য একখণ্ড জমিও ফেলে রাখা চলবে না। এ জন্য কৃষি-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বীজ, সার, কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণের ঘাটতি যাতে না হয় এবং সময়মতো কৃষকের হাতে পৌঁছায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করার কথা জানিয়ে বলেন, এ তহবিল থেকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি চাষিদের কৃষি, মৎস্য, ডেইরি এবং পোলট্রি খাতে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ প্রদান করা হবে। কৃষি ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।