প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২০ , ৭:২০:৫১ অনলাইন সংস্করণ
শাল্লা প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪ নং শাল্লা ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দ সম্ভাব্য করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওয়ার্ড ভিত্তিক দুস্থ: ও অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণের তালিকায় স্বজনপ্রীতি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শাল্লা ইউনিয়নে ত্রাণের এই তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলায় নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে গরীব অসহায় ও দিনমজুর মানুষের তালিকা করে ত্রান দেয়ার কথা। সেখানে এই নির্দেশনার তোয়াক্কা ন। করে চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নিজস্ব বলয়ের লোকদের দিয়ে এই তালিকা করা হয়েছে। এমনকি সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুন নুরের দুই ছেলে ও তার দুই ভাতিজা ও ভাবির নাম দিয়ে ত্রানের তালিকা করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই ইউনিয়নে আরো অনেকেই রয়েছেন একই পরিবারের ৩/৪ জনের নামওও তালিকায় রয়েছে। জানা গেছে শাল্লা ইউনিয়নের শ্রীহাইল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের তিন ছেলে মশুর আলী, রেজেক মিয়া, আসাদ মিয়ার নামও তালিকায় রয়েছে। আবদা গ্রামের গোলকবাসী দাসের দুই ছেলের নামও তালিকায়। সীমেরকান্দা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের দুই ছেলে আলাল মিয়া, সরাজ মিয়া, একই গ্রামের নুর মিয়ার দুই ছেলে এরশাদ মিয়া ও জিলানী মিয়ার নাম তালিকায় দিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ের চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা। অথচ এই ইউনিয়নের গরীব অসহায় ও অনেক দিনমজুরের নাম তালিকায় দেয়া হয়নি।
এই বিষয়ে শাল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামান চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, একই পরিবারে পৃথক রয়েছে অনেকেই। তাই পাওয়ার উপযুক্ততা যাচাই করে এবং পৃথক থাকার কারনেই তাদের নাম তালিকায় দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেনকে জানানো হলে তিনি বলেন বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখব।
এব্যপারে সুমামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি। কারন তিনি ফোন রিসিভ করেননি।