প্রতিনিধি ১৩ এপ্রিল ২০২০ , ১:২৮:৩৯ অনলাইন সংস্করণ
বিপ্লব রায়, শাল্লা:: শাল্লা উপজেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ করোনা ঝুঁকিতে রয়েছে।
গত কয়েকদিনে উপজেলায় ঢাকা- নারায়নগঞ্জ থেকে ৪৩৭ জন লোক শাল্লায় এসেছে।
ফলে সাধারন মানুষের অসচেতন চলাফেরা আর ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকজন শাল্লা উপজেলাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলেছে।
উপজেলা কন্ট্রোলরুমের সর্বশেষ তথ্য মতে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে ৪৩৭ জন লোক শাল্লার বিভিন্ন গ্রামে এসেছেন।
এই সব লোকদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।
পুলিশ গেলে কোয়ারেন্টাইন এ থাকা লোকেরা ঘরে থাকলেও পুলিশ আসা মাত্র আবার বাহিরে বের হয়ে যাচ্ছে অনেকেই। এযেন চুর পুলিশ খেলা। আবার অনেকেই ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকদের তথ্য গোপন করছেন।
তবে শাল্লা উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ৪৩৭ জনের মধ্যে কারো নমুনা এখনও সংগ্রহ করা হয়নি।এই কারনে বুঝা যাচ্ছেনা এদের মধ্যে কেউ করোনা পজেটিভ আছে কি না।
এ দিকে শাল্লার বিশিষ্টজনেরা বলছেন যত দ্রুত সম্ভব তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা করা উচিৎ।আর না হয় হুমকিতে পড়বে শাল্লা।
শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন,কিট সংকটের কারনে এখনও ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা লোকদের নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর যদি কারো শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয় তাদের নমুনা আমরা সংগ্রহ করব।
রেনডমলি সবার নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়।
এবিষয়ে শাল্লা উপজেলা নির্বাহি অফিসার আল মুক্তির হোসেন বলেন, আমারা সকলের হোম কোয়ারান্টাইন এবং প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছি। স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারদের তাদের দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।