প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২০ , ৫:৫৫:৩৩ অনলাইন সংস্করণ
শাল্লা প্রতিনিধিঃ সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষনার পর ছুটির নির্দেশনা অমান্য করে ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে সুনামগঞ্জের শাল্লায় ১৩ কর্মকর্তা অনুপস্থিত এমন সংবাদ প্রকাশের পর অনেকেই ফিরেছেন নিজ কর্মস্থলে। কিন্তু তাদের অনেকেই মানছেন না হোম কোয়ারেন্টিন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন। প্রকাশ্যে ঘুরাফেরা করতে দেখা গেছে অনেককেই।শুধু একজনকে গিয়ে পাওয়া গেছে প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টিনে।
ফলে কর্মকর্তাদের এই অসচেতনতার কারনে করোনার হুমকিতে রয়েছে তাদের সহকর্মী ও শাল্লাবাসী।
স্থানীয়দের মন্তব্য, সাধারণ জনগনের সময় কোয়ারেন্টিন, আর কর্মকর্তাদের সময় নাই।
জানা যায় এদের মধ্যে বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ অহিদ উল্যাহ এসেছেন অধিক করোনা আক্রান্ত জেলা নারায়নগঞ্জ থেকে।প্রাতিষ্টানিক কোয়ারেন্টাইন না মেনে তিনি তার অফিস কর্মীদের সাথেই অবস্থান করছেন।
ভূমি অফিসের নাজির সামছুদ্দোহা, সংবাদ প্রকাশের পর ঘটনাস্থলে আসেন। কিন্তু উনি আসার পর হোম কোয়ারেন্টিন বা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন মানছে না। তিনি জানান, আমি কোয়ারেন্টিন বিষয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেন।
এদিকে উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মৌলভীবাজার থেকে এসে বিআরডিবি’র জোড়াবাড়ি ভবনরে একটি পরিবারের সাথে অবস্থান করছেন।
সহকারি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ সিরাজুল হক কর্মস্থলে ফিরে এলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান ওই কর্মকর্তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দিলেও তাকে পাওয়া যায়নি কোয়ারেন্টিন ভবনে।
এদিকে সাধারণ মানুুষ বলছেন, শুধু ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ হতে আসা সাধারণ লোকদেরকে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের লোকজনই মানছেন না কোয়ারেন্টিনের নিয়ম। তারাই ঘুরাফেরা করছে প্রকাশ্যে।
কোয়ারেন্টিন না মেনে সোমবার (১৩এপ্রিল) ময়মনসিংহ জেলা হতে আসে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের উপজেলা সম্বয়কারি মোঃ মিজানুর রহমান। তাকে ওইদিন সন্ধ্যা ৭টায় ঘুরতে দেখা যায়। তার সাথে কথা হলে তিনি রেগে বলেন, কোয়ারেন্টিন মানা না মানার জবাব আপনাকে দেবো কেন ?
অপরদিকে উপজেলা সদরের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সরকারি গোবিন্দ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় গিয়ে পাওয়া যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা সমন্বয়কারি মোঃ মোস্তাকিমকে। এসময় তিনি জনান, ভাই আমি গত পরশু এসেছি। আমাকে এখানে রাখা হয়েছে। আমার খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমি খুবই কষ্টে আছি।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, কর্মস্থলে ফিরে আসা কর্মকর্তাদের হোম কোয়ারেন্টিন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।