• অনিয়ম / দুর্নীতি

    শাল্লায় অনুপস্থিত ১৩ সরকারি কর্মকর্তাঃ করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছেন ইউএনও!

      প্রতিনিধি ১১ এপ্রিল ২০২০ , ১০:৩১:৫২ অনলাইন সংস্করণ

    বিপ্লব রায়, সিনিয়র প্রতিবেদক।। করোনায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সারাদেশ জুড়ে। এই পরিস্থিতিতে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এমনকি সারা দেশ জুড়ে অঘোষিত লকডাউন চলছে। কিন্তু সরকারের নির্দেশনায় বলা হয়েছে দায়িত্বরত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিজ কর্মস্থলে থেকে জনগনের পাশে দাড়ানোর জন্য। কিন্তু এসব নির্দেশনা না মেনে নিজেদেরকে রক্ষা করার জন্য উপজেলা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন শাল্লার ১৩ কর্মকর্তা। উপজেলা চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা ও শাল্লা থানার ওসি,  প্রানপন চেষ্টা করছেন জনগনকে সচেতন করার লক্ষ্যে। এই উপজেলায় প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এতসব জনগনকে সচেতন করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। আর এই সুযোগে ১৩ জন কর্মকর্তা ঘাঁ ঢাকা দিয়ে উপজেলায় সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। জানা যায়, করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষনা করেছেন প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ০৪ এপ্রিল পর্যন্ত। পরে তিন দফা সময় বাড়িয়ে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ ছুটি ঘোষনা করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- করোনা ভাইরাস সংক্রামণ ও বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বিক সহায়তা প্রদানের জন্য সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি এ নির্দেশনা অমান্য করে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ১৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

    এসব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল-মুক্তাদির হোসেন।
    উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায় ওইবস অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে অনেকেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় গঠিত বিভিন্ন কমিটিতে রয়েছেন।
    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দীন মোহাম্মদ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা সুপারভাইজার মোঃ মোঃ মোস্তাকিম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপন কান্তি পাল, উপজেলা সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা মোঃ সিরাজুল হক, উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ অহিদ উল্যাহ, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের উপজেলা সমন্বয়কারী মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা শিল্পী রাণী সিনহা, উপজেলা সহকারি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল আহাদ, উপজেলা ভূমি অফিসের কানুনগো দেবব্রত দাস, সার্ভেয়ার আতিকুর রহমান, অফিস সহকারি হরেন্দ্র কুমার দাস ও মোঃ সামছুদ্দোহা অনুপস্থিত রয়েছেন।
    এদের মধ্যে করোনা মোকাবেলা কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, দাফন-কাফন ও ধর্মীয় সচেতনতা মূলক গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা সুপারভাইজার মোঃ মোস্তাকিম। তাছাড়াও অনুপস্থিত অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণও রয়েছেন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে।
    এব্যাপারে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আহাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আপনারা নিউজ করেন এবং ইউএনও-কে জানান।

    আরও খবর

    Sponsered content