ফারজানা মৃদুলা ২৫ এপ্রিল ২০২০ , ৮:৪৬:০৫ অনলাইন সংস্করণ
মানুষ কবে নাগাত ফিরে পাবে তাদের দৈনন্দিন রুটিনবাঁধা জীবন ? এর শেষ কোথায় ? করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বকে বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে ,গোটা পৃথিবী বলতে গেলে থমকে গেছে যেসব স্থানে মানুষের পদচারণায় মুখর থাকে প্রতিনিয়ত সেগুলো দেখলে এখন অচেনা মনে হয়।
কবে পাবে ফিরে পৃথিবী আবার ও নতুন প্রাণ জানা নেই এ প্রশ্নের উত্তর কারোর কাছে! এই মহামারী ঠেকাতে গোটা বিশ্ব যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছে তা বলা বাহুল্য।
কিন্তু তার পরও আমরা নিরুপায় হয়ে গেলাম করোনার কাছে। লকডাউন চলছে, চলছে স্বাস্থ্য- সর্তরকতা মুলক নানা রকম নিষেধ মেনে চলার আহবান। আমরা কেউ মানছি কেউ বা না মেনে বয়ে আনছি পরিবার পরিজন কিংবা অন্য কারোর জন্য জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার ভয়ানক সেই মহামারীটি।
এত কিছুর পর ও বিভিন্ন যানবাহন ট্রেন,বাস ইত্যাদি করে ছুটে চলছে বেশ কিছু মানুষ তারা নিজেরাও হয়ত জানেন না সাথে করে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে আসছেন ভয়ানক করোনা কে। আর এর কুফল এতটাই বিস্তৃত হচ্ছে যা কিনা আমাদের কল্পনার ও অতীত। একটু ধৈর্য ধারন করে আমরা পারি এই দুঃসময় টাকে কাটাতে।আতংকিত না হয়ে সাহস হই একে অন্যের, এটাই এখন আমাদের মুলধন।
জানি সবাই এখন বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবার গুলো পুরোপুরিভাবে দেয়ালে পিঠ আটকে গেছে আয়ের উৎস বন্ধ একেবারেই। পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি ভাবে খাদ্য সহায়তা এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা হয়ত সবার জানা নেই এই সংকটময় সময়ে এই পাওয়াটাই অনেক কিছু।
তারপর তো কত কিছু প্রয়োজন পরিবার চালাতে তাই হয়ত এই অপেক্ষার সময় কারোর জন্য অসহনী হয়ে পড়েছে। যেখাবে সব কিছু বন্ধ রাখা এই দূ্র্যোগ কাটিয়ে উঠার কারনে, এভাবে সব বন্ধ থাকলে সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হবে ভয়াবহ। এ অবস্থা হতে বেরিয়ে আসার রাস্তা কি তা এখনো জানার উপায় নেই। এ পরিস্থিতির প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতি আজ অবরুদ্ধ ধেয়ে আসছে মহানন্দা অনেকের ধারনা এই মহানন্দার মাত্রা ১৯২০ সালকে হার মানাতে পারে। বিশ্বের বড় বড় এবং শক্তিশালী অর্থনীতির দেশগুলোর সরকার প্রধানরা হয়ে পড়ছেন কিংকর্তব্যবিমূঢ়। দুশ্চিন্তা আছি বাংলাদেশের মত মধ্যম আয়ের দেশের ও কি হবে আগামীর অর্থনীতির বাজার? কি হবে আমাদের ভবিষ্যত? নেই কোন উত্তর। কেবল কৃষি উৎপাদন ছাড়া পুরো অর্থনীতি আজ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এর ফলে তো ধস নামছেই অর্থনীতি তে, অন্যদিকে নিন্মআয়ের খেটে খাওয়া দিনমুজর সহ লক্ষ মানুষের আহারের চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
মানবসভ্যতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এ মূহুর্তে করোনা মোকাবিলায় যা করনীয় তা করতে হবে।অর্থনীতিবিদের মতে আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে দুই বছরের মাঝে দেশের অর্থনীতিকে আবার স্বাবাভিকতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাহলে দেশ টাকে এবং পুরো পৃথিবীটা কে প্রান ফিরে পেতে আমরা কি সহযোগিতা করতে পারি না?
আমরা সবাই নিজ নিজ এলাকা না ছাড়ি, অযথা বাহিরে না বের হই ঘরে থেকে, অন্যকে এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করি। এই যে বেড়ে চলছে করোনাভাইরাস এর প্রকোপ এই ভাবে চলতে থাকলে পুরো পৃথিবী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। নিঃস্ব হয়ে ভেঙ্গে যাবে কত জনার অপূরনীয় স্বপ্ন। আসুন না সবাই মিলে সৃষ্টিকর্তার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করি বলি,
এবারের মত একটি সুযোগ দাও আমাদের ভুলগুলোকে বিদায় দিয়ে শুদ্ধতাকে বরন করার।
“হৃদয়ে থাকুক অটুট বিশ্বাস ফিরে পাবে পৃথিবী আবারও নতুন করে প্রান”।