• অনিয়ম / দুর্নীতি

    প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার পরেও কেন্দুয়া নদীতে রাতের আঁধারে মাছ ধরার উৎসব

      প্রতিনিধি ১৪ এপ্রিল ২০২০ , ৯:০৩:৪৯ অনলাইন সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সুনামঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৩ নং বড়দল দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন চতুর্ভুজ-রামাশ্বেরপুর দুই গ্রামের মধ্যে অবস্থিত কেন্দুয়া নদীর একাংশে রাতের আধারে পানি সেছ করার (পাম্প) মিশিন চালিয়ে মাছ আহরন করার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন একদল মানুষরূপী জলদস্যুরা।

    রামেশ্বরপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুস সালামের ছেলে মোজাহিদ নামে এক জলদস্যু সদস্যর সাথে যোগাযোগ করলে বলেন আমরা অনেক বছর যাবত কেন্দুয়া নদীর মাছ দেখছি কোন নিষেধ বাধা আমাদেরকে থামাতে পারেনি আর এখনো পারবে না এবিষয়ে গণমাধ্যমকর্মী কে বলেন তোমাদের কিছু করার থাকলে করো আমরা এগুলো ভই পাই না আমাদের উপরের লোক আছে।

    গত কয়েকদিন ধরে রাতের আধারে ৮ থেকে ১০ টি পানি সেছ করার (পাম্প) মিশিন চলছে ওই কেন্দুয়া নদীর বুকে । দিনের বেলায় অদৃশ্য হয়ে যায় ওই পাম্প মিশিন গুলো। আশে-পাশের কয়েক গ্রামের মানুষজন জানান,ওই নদীর পানি দিয়ে আমরা কয়েক গ্রামের মানুষ গোসল করা থেকে শুরু করে হাড়ি-পাতিল ধুয়ে থাকি। নদীটি শুকিয়ে মাছ ধরলে আমাদের পানির অভাব দেখা দিবে।
    সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, চতুর্ভুজ-রামাশ্বেপুর, ইমানপুর গ্রামের মানুষের পানির অভাব দেখা দিচ্ছে।কেউ কেউ আবার ওই নদীর পানির অভাবের কারনে গোসল করতে পারছেন না। এমন কি নিজেরদের নিত্য প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা মিটাতে পারছেন না ওই এলাকার লোকজন ।
    নদীর দুই পাড়ের তীর বেঙ্গে পড়া,নদীর আশে-পাশের ফসলী জমি নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচলের গুরুত্বপুর্ন বাঁশের সেতুটি বেঙ্গে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। উপজেলার অন্যতম বানিজ্যকেন্দ্র বাদাঘাট বাজার থেকে কাউকান্দি বাজার-বালিয়াঘাট বাজার সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করে থাকেন বাঁশের সেতুটি দিয়ে।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আজহার আলীর সাথে মুঠোফেনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এই বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেছি এবং আমি নিজেও নিষেধাজ্ঞা করেছি কিন্তু চক্রটি কোনোভাবেই তা মেনে।

    এই ব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজেন ব্যানার্জীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিব করেননি তিনি।

    আরও খবর

    Sponsered content