• মুক্ত কলাম

    করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ও জনজীবনে হাহাকার

      প্রতিনিধি ১ এপ্রিল ২০২০ , ৭:৩৫:০৫ অনলাইন সংস্করণ

    ইকবাল আহমদ

    সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে জনজীবনে হাহাকার। খুব দ্রুত অচল হয়ে যাচ্ছে বিশ্ব । ধেয়ে আসছে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস নামের মহামারী। প্রতিনিয়ত হাজার হাজার প্রাণের অবসান ঘটছে। এটি যেন দৈনন্দিন রুটিন, বর্তমান বিশ্বের। ঘুম থেকে জেগেই মানুষ শুনতে পাচ্ছে কেবলই মৃত্যুর খবর। অসুস্থতার সংবাদ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, লাশের মিছিল। এ মিছিল অগ্রসর হচ্ছে বিরামহীন। সারা বিশ্বের বড় বড় ডাক্তার, গবেষক, চিকিৎসা বিজ্ঞান এ মহামারীর কাছে ধরাশায়ী, তাদের ঘুম হারাম। অবস্থার প্রেক্ষিতে এমনি মনে হচ্ছে। ওষুধ খেয়েও জনজীবন ধরে রাখা কষ্টসাধ্য। একজন বাচলে পরিবর্তে চলে যাচ্ছে তিনজন। বিশ্বের মহাশক্তিধর দেশগুলো চোখে সরষেফুল দেখছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ অর্থাৎ আমাদের অবস্থানও তেমন সুখকর নয়। এরি মধ্যে পাঁচজনের কেড়ে নিয়েছে প্রাণ। প্রায় পঞ্চাশ জন শয্যাশায়ী। করোনা নামের মহামারী বিস্তার রোধে সারা দেশ এখন লকডাউনের আওতায়। সব শ্রেণী পেশার মানুষ এখন গৃহবন্দী।

    উন্নত বিশ্বের দেশগুলো লকডাউন ঘোষণা করলেও পাশাপাশি তার দেশের মানুষের ভরণ-পোষণের দায়ভার, সে দেশের সরকারই বহন করছে। দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণা করা হলেও এ দেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এ দেশের মানুষ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ১০ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে বন্দি জীবন অতিক্রম করছে। যদি বাংলাদেশে পরিস্থিতি বিবেচনায় লকডাউনের সময়সীমা দীর্ঘায়িত হয়, তাহলে মধ্যবিত্ত,নিম্নমধ্যবিত্ত,নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষ চরম দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

    জনজীবন হয়ে পড়েছে স্থবির। জানি না এ স্থবিরতার অবসান কবে হবে। আদৌ হবে কি না। জীবনকে বাঁচানোর জন্যেই তো এ লকডাউন। লকডাউন মান্যও করছে জনগণ বিশেষ করে শহরের মানুষ। কারণ এ ব্যাধিটি এমন এক ব্যাধি যা একজন থেকে আরেক জনে বিস্তার লাভ করে । শ্বাস প্রশ্বাসে স্পর্শে এ ভাইরাস ছড়ায়। অলস সময় কাটছে হয়েতো গৃহবন্দী অনেকেরই। জীবনকে ব্যাধিমুক্ত রাখার প্রয়োজন আছে। অধিকার আছে বাঁচার। এ অধিকার প্রয়োজনটুকুকে যদি আমরা উপেক্ষা করি এর শেষ পরিণতি যে কি ভয়াবহ রূপে আসতে পারে তা তো চিন্তার বিষয়। এই পরিণতির ব্যাপারটি নিয়ে কি কেউ ভাববে না? এখন দুর্যোগ, দুঃসময় অতিক্রম করছে। তাছাড়া কেবল বাংলাদেশই নয় সমগ্র মানবজাতি একটি আপদকালীন সময় অতিক্রম করছে। তাই বিষয়টির ব্যাপারে তড়িৎ সিদ্ধান্তের প্রয়োজন আছে।

    পরিস্থিতি মোকাবেলায় এই দুর্যোগময় মুহূর্তে সরকারসহ সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসবে বলে এমন প্রত্যাশা করি।

    লেখকঃ ইকবাল আহমদ

    সম্পাদক, গ্লোবাল সিলেট ডটকম

    আরও খবর

    Sponsered content