প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২০ , ৭:২০:৩১ অনলাইন সংস্করণ
১৯৭১ সালে২৫ মার্চ ভয়াল সেই কালো রাত্তির পর সূচনা হয় ২৬ মার্চ এ স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার লক্ষে লড়াই এর প্রতিজ্ঞা।
আর এভাবেই দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা ফিরে পাই আমাদের সোনার স্বাধীন মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশ।৪৯বছর পর সেই ২৬ মার্চ এর শপথ কে সাথে নিয়েই করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াই এ নামে Save Sylhet. কাকতালীয় ভাবে হয়ত তারিখ টাও মিলে যায় আর এই সংগঠনের উদ্যোক্তাদের মাঝে সৃষ্টি হয় এই মহামারী যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার কথা।এটা কোন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ নয়, এটা হলো করোনাভাইরাস নামক এক ভয়ানক মরনঘাতীক জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই।এ লড়াইয়ে কোনো দেশ বা জাতির একার নয়,এ লড়াইয়ে বিজয়ী হতে গোটা পৃথিবী আজ একত্রে।
মূলত মৃত্যুর ভয় থেকে সাহস যোগানোর জন্য সেভ সিলেটের জন্ম হয়। মরার আগে জীবনের শেষ ভালো কাজ করার প্রয়াস থেকেই শুরু হয় সেভ সিলেট প্লাটফর্ম। এইসংগঠনের স্বপ্ন সিলেট ৩৬০ আউলিয়ার পূর্ণভুমির প্রতিটি মানুষ যেন রক্ষা পায় এই কঠিনতম সময় থেকে ।শহর কিংবা গ্রামের মানুষগুলো যেন সহায়তা না পেয়ে অসহায় হয়ে না যায়।যাতে আস্থা রেখে নিজেদের না বলা কথা গুলো অকপটে বলে ভরসা করতে পারে এই লক্ষে সেভ সিলেটকে তৈরি করা। যেকোনো বিপদে একজন আরেকজনের পাশে দাড়ানোর সেই কাল জয়ী ভূপেনহাজারীকা গানটি যেন সঠিক পূর্নতা পায়
“মানুষ মানুষের জন্যে
জীবন জীবনের জন্যে”
সেইভ সিলেট সপ্ন দেখে জীবনের যেকোনো বিপদে হাতে হাত রেখে পার করার।এই ভাইরাসের যুদ্ধে যেন পরাজিত না হতে হয়।হয়তো আগামী কালই আমার জীবনের শেষ দিন হতে পারে।এই কথা চিন্তা করে যে আমাদের সেইভ সিলেটের বৃহৎ আকারের ভলান্টিয়ার পরিবার যারা যেকোনো বিপদে ঝাপিয়ে পড়বে অসহায় মানুষদের পাশে।
এই পরিবারের সদস্য বেশিরভাগই তরুণ।যাত্রার একমাস হতে না হতেই নিজেদের এই মহৎ কাজে সম্পৃক্ত করতে যুক্ত হয়েছে প্রায় ১০০০০ হাজার ভলান্টিয়ার।প্রতি নিয়ত বেড়েই চলছে সংখাটি।তাদের সবাইকে জানাই অভিবাদন।
এদের সকলেই সাধ্যমত রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন ভালোকিছু করার লক্ষে। এবং তারা তখনি স্বস্তি পায়,শান্তি পায়,যখন দেখে যে এই কিছুদিনে কয়েক হাজার পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে সক্ষম হয়েছে সেইভ সিলেট।
এই সংগঠনটি বিভাগের সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ করছে। নিজেদের প্রতিজ্ঞা রাখতে অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিই বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় সেইভ সিলেট এর ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে ।এবং পরিচয় গোপন রাখছে মুখফুটে চাইতে না পারা পরিবারগুলোর।
সামর্থ অনুযায়ী বিনামূল্যে সবজি বিতরণ, ছাড়াও রমজাম মাসের শুরু থেকে সব এলাকায় যতটুকু সম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দূর্যোগপূর্ণ সময়ে পশুরাও অসহায় হয়ে পড়ায় তাদেরও খাবার দিয়ে সাহায্য করেছে।
সমাজের বৃত্তবান দের প্রতি এই সংগঠনের আবেদন পাশে থাকার এবং এই সংগঠনের কার্যক্রম যেন সচল থাকে এই বিষয়ে সহযোগিতা করার।এছাড়া সমাজের সকলের প্রতি চাওয়া সাথে থেকে এই সংকটময় কাল পাড় করার জন্য সহযোগিতা করার।
এই সংকটময় মুহূর্তে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসলে সবাই মিলে জয় ছিনিয়ে আনবো ইনশাআল্লাহ।
প্রকৃতিকন্যা আবার ও ফিরে পাবে প্রাণ।
বাঁচবে সিলেট বাঁচবো আমরা।