প্রতিনিধি ১৯ মার্চ ২০২০ , ১১:১৮:২৮ অনলাইন সংস্করণ
শাল্লা প্রতিনিধি: ক্যাসিনো কান্ডের ঘটনার পর সারা দেশে জুয়া বন্ধে রেড এলার্ড দিয়েছেন প্রশাসন। এমনকি হাইকোর্টের রিটের মাধ্যমে জুয়া বন্ধের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর পরই সারা বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি হয় আতঙ্কময় করোনা ভাইরাস। এই ভাইরাসের কারনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এমনকি বাংলাদেশেও এই ভাইরাসের কারনে অনেকেই কোয়ারেন্টিনও রয়েছে। তাই এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। এমনকি বিভিন্ন জায়গায় জনগনের সমাগম করার নিষেধও দিয়েছেন। আর এই নিষেধাজ্ঞার উপর ভিত্তি করেই শাল্লা উপজেলা প্রশাসন উপজেলার বিভিন্ন মেলার ধর্মীয় কার্যক্রম ব্যতিত প্রসাধনী মেলাসহ সকল প্রকার জনসমায়েত বন্ধের জন্য উপজেলায় মাইকিং করা হয়।
এই মাইকিং এর কথা শুনে বন্ধ হয়েছে তিনশত বছরের পুরাতন ঐতিহ্যবাহী বাহাড়া সোমেশ্বরী মেলা। এই মেলা বন্ধ হওয়ায় অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে এর দু’দিন পরই বুধবার শুরু হয় শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের আটগাঁও গ্রামে মেলা। দিনে মেলার কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও রাতভর চলেছে জুয়া খেলা। আর এই জুয়া খেলার ফলে লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন এলাকার যুবকেরা।
জানা গেছে, উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নের আটগাঁও গ্রামের পাচহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় অর্ধশতাধিক জুয়ার ঘর বসে এই খেলা চলে। এই খেলার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামকে জানানো হলেও বন্ধ হয়নি জুয়া খেলা। এমনকি সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদের মুঠোফোনে এ প্রতিবেদকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সারা দেশে জুয়া বন্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে হাইকোর্টের। আর এই জুয়া খেলা বন্ধের জন্য আমি ইউএনওকে বলে দিচ্ছি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। শুধু তাই নয়, জরুরী সেবাকেন্দ্র ৯৯৯ এ কল করলেও মেলা বন্ধ করতে পারেনি শাল্লা থানার পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ আটগাঁও ইউনিয়নের কিছু প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় ও প্রশাসনের প্রশ্রয়ে রাতভর জুয়া খেলেন জুয়াড়ীরা। নাম প্রকাশে আিনচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, শাল্লা থানার সাথে হাত মিলিয়ে এই জুয়া খেলা দিয়েছে আয়োজকেরা। এদিকে কয়েকদিন আগেও রাহুতলা মেলায় রাতভর জুয়া খেলার আসর বসেছিল। এই বিষয়েও শাল্লা থানার অফিসার্জ ইনচার্জকে জানানো হলেও কোনো সুফল পায়নি এলাকাবাসী।
জুয়া খেলার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মোক্তাদির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পাঠানো হয়েছে। জুয়া খেলা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট করার আশ্বাসও দেন তিনি। এরপরও কোনো কাজ হয়নি। রাতভর খেলেছে জুয়া খেলা।
এ বিষয়ে অতিরক্তি পুলিশ সুপার (দিরাই শাল্লা) বেলায়েত হোসেন শিকদার বলেন, আমি ওসিকে নির্দেশ দিয়েছি জুয়া বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।