প্রতিনিধি ৮ মার্চ ২০২০ , ১১:৫২:১৩ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জে জলমহালের বিরোধকে কেন্দ্র করে ইজারাদারের লোকদের হাতে আলীম তালুকদার (২৩) নামে এক যুবলীগ নেতা খুন হয়েছে।
নিহত আলীম সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাজ গ্রামের হানিফ খানের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জলমহাল নিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ও বড়ধই বিলের মালিক মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে বিরোধ চলছিল আলীম তালুকদারের। গত ৫ মার্চ জোরপূর্বক আলীম তালুকদারের মালিকানাধীন বড়দই বিলের হিঙ্গিদাইড় খাল শুকিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যায় বিল তদারকিতে থাকা দরিয়াবাজ গ্রামের কয়েকজন লোক। এ নিয়ে আলীম তালুকদারের সঙ্গে বড়দই বিলের মালিক পক্ষ ও গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনাস্থল থেকেই তাকে ধরে নিয়ে এসে বড়দই বিলের ইজারাদারের খলাঘরে বেদম মারধর করা হয়। এতে সে গুরুতর আহত হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আলীম চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (৭ মার্চ) সকালে মারা যায়।
এ ঘটনায় শনিবার সকালে সদর থানা পুলিশ আব্দুল্লাহপুর গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য জহুর আলী, দরিয়াবাজার গ্রামের যশু মিয়া এবং মমিনুল ইসলাম নামে এই ৩ জনকে আটক করেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে নিহত আলীম তালুকদারের ভাবি ফুলবানু বলেন, ‘আমার দেবর আমাকে বলেছে মনোয়ার সাবের অর্ডারে আলীমকে ধরে নিয়ে মারপিট করা হয়। মনোয়ার সাব নিজে বুটপায়ে তাকে লাথি দিয়ে রক্তাক্ত করেন। মনোয়ারই আমার দেবরের খুনি। আমরা তার ফাঁসি চাই।’
আলীম তালুকদারের খালাতো ভাই উমর আলী বলেন, ‘মনোয়ার সাব অর্ডার দিছইন আলীমরে মাইরা ২ কোটি টাকা খরচ করতে। তাইনের অর্ডারে বিলের লোকজন আমার ভাইরে খলায় এনে জানে মারছে। তারা মারার পর চিকিৎসা নিতেও দেয়নি। আমরা এ ঘটনায় খুনিদের ফাঁসি চাই।’
এ দিকে বড়দই বিলের ইজারাদার মনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন তারা চারদিন আগে বিল ফিশিং করে চলে এসেছেন। তারা এসব ঘটনায় জড়িত নন। তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, দুইদিন আগে যুবক আলীমকে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি হয়তো ওসমানীতে শনিবার সকালে মারা গেছেন। আমরা এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছি।