• আহত / নিহত

    সালিস বৈঠকেই স্কুলছাত্রীর ভাইকে প্রকাশ্যে হত্যা করে উত্ত্যক্তকারী!

      প্রতিনিধি ১৩ মার্চ ২০২০ , ১:০৫:৩৯ অনলাইন সংস্করণ

    ছবি : সংগৃহীত

    কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠক হচ্ছিলো। সে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্ত্যক্তকারীও। বৈঠকের এক পর্যায়ে স্কুলছাত্রীর জ্যাঠাতো ভাইকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে উত্ত্যক্তকারী।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুরামপুর আড়াইবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত আবদুল আউয়াল (৩০) ওই গ্রামের ধুনু মিয়ার ছেলে এবং অভিযুক্ত আসলাম (২২) একই গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে।

    এ ঘটনায় আরো ৮ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত তিনজনকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    ওই স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষার আগে থেকেই একই গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আসলাম তার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। এ নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান অফিসে একাধিকবার বিচার-সালিস হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে তার মেয়ে নানার বাড়ি পার্শ্ববর্তী কালিকাপুর গ্রামে বেড়াতে যান। এদিন দুপুরের দিকে তিনি নানার বাড়ি থেকে মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জে তার খালার বাসায় চলে যান। আসলাম খবর পেয়ে নানার বাড়ি কালিকাপুরে গিয়ে তার মেয়েকে দেখতে না পেয়ে কোথায় লুকিয়ে রেখেছে জানতে চান। মেয়ের খবর না দিলে সবাইকে খুন করা হবে বলেও হুমকি দেন আসলাম।

    এ ঘটনায় নিহত আবদুল আউয়ালের বাবা ধুনু মিয়া ও স্কুলছাত্রীর বাবা গ্রামের চেয়ারম্যান ও মুরুব্বিদের কাছে বিচার চান। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশের দোকানের সামনে সালিস ডাকা হয়।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সালিসের একপর্যায়ে আসলাম ও তার ১০-১২ জন সহযোগী উত্তেজিত হয়ে ওই ছাত্রীর স্বজনদের ওপর ধারালো অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে আসলামের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে ওই ছাত্রীর জ্যাঠাতো ভাই আবদুল আউয়ালের ঘাড়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই আওয়াল মারা যান।

    দেবিদ্বার থানার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, আবদুল আওয়াল নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

    এ ঘটনায় অভিযুক্ত আসলামের বাবা মো. ছিদ্দিকুর রহমান পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া আসলামের বড় ভাই আকিজকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

    আরও খবর

    Sponsered content