প্রতিনিধি ৬ মার্চ ২০২০ , ১২:৪৪:০৩ অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধিঃ ভারতের দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে উগ্রপন্থী হিন্দু সন্ত্রাসী কর্তৃক মুসলিম গণহত্যা, ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও মসজিদে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সিলেট সদরের তেমুখী পয়েন্ট এর হাজী সুন্দর আলী জামে মসজিদের সামন থেকে কুমারগাও বাসটেন্ড পর্যন্ত সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার ব্যানারে আজ শুক্রবার বাদ জুমআ এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাজের পরে বড়গাঁও জামে মসজিদ, শেখপাড়া জামে মসজিদ, কুমারগাও বাসটেন্ড জামে মসজিদ ও শেখপাড়া জামে মসজিদ থেকে খণ্ডখণ্ড বিক্ষোভ মিছিল তেমুখি পয়েন্টের হাজী সুন্দর আলী জামে মসজিদের সামনে জমায়েত হয়ে বিশাল মিছিল নিয়ে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড প্রদক্ষিণ করে আবার তেমুখী পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিল পরবর্তী প্রতিবাদ সভা বড়গাঁও জামে মসজিদের ইমাম ও টুকেরবাজার মুখলিছিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা গোলাম রব্বানির সভাপতিত্বে ও শেখপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব, বিশিষ্ট লেখক মাওলানা শামসীর হারুনুর রশীদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব কাজি জুনাইদ আহমদ, হাজী সুন্দর আলি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মুফতি নুমান আহমদ, কুমারগাও বাসটেন্ড জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ, সাহেবের গাঁও জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্বাস উদ্দিন, অনন্তপুর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আসাদ উল্লাহ, কুমারগাও জামে মসজিদের সেক্রেটারি মো. বিলাল আহমদ, শেখপাড়া জামে মসজিদের কেশিয়ার শেখ লুকমান আহমদ প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম সম্প্রীতির দেশ বলে দাবী করলেও তারা মুসলিমদেরকে যেভাবে গণহত্যা, নির্যাতন, মসজিদ মাদ্রাসায় অগ্নিসংযোগ করে উগ্রহিন্দুত্ববাদের পরিচয় দিচ্ছে সারা দুনিয়ায় এখন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের পরিচয় দিচ্ছে। সেই সন্ত্রাসী রাস্ট্রের কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর মুজিবুর রহমানের জম্মশত বার্ষিকী অনুষ্ঠানকে কলঙ্কিত করবে তা হতে দেওয়া যায়না।
তাই আমরা মোদীর আগমনের নিন্দা জানাই, এই বাংলায় আসার পূর্বে মোদীকে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আসতে হবে। আমরা আজকের এই মিছিল ও সমাবেশ থেকে ভারতের উগ্রবাদী হিন্দু সন্ত্রাসীদের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও মুসলিম গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি।
মসজিদে অগ্নিসংযোগ করে বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের কলিজায় আগুন জ্বালিয়েছে, নারী শিশু নির্বিশেষে যুবক-বৃদ্ধকে হত্যা করে ওরা মানবতাকে হত্যা করছে তাই দলমত নির্বিশেষে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তৌহিদী জনতার পাশাপাশি বিশ্বের মানবতাবাদীদের এগিয়ে আসতে হবে।