প্রতিনিধি ২২ মার্চ ২০২০ , ২:৩৪:৪০ অনলাইন সংস্করণ
পঞ্চগড় থেকে ঘুরে এসে মাহমুদ আহসান হাবিব।। হত-দরিদ্রের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় দশ টাকা কেজিতে চাল বিতরণে প্রতি বস্তায় ৩০ কেজির পরিবর্তে ২৮ কেজি, এলএসডি হতে সরবরাহকৃত আমন চালের বদলে নিম্নমানের চাল বিতরণ এবং ইউপি সদস্যকে মারধর সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এক ডিলারের বিরুদ্ধে। অভিযোগের সত্যতাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে অজ্ঞাত কারণে এখনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
আক্তারুজ্জামান সাজু নামের ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের অধিনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল বিতরণকারী ডিলার।
সে একই ইউনিয়নের বামনকুমার এলাকার তজির উদ্দিনের ছেলে।
গত ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর ভুক্তভোগি ইউপি সদস্য রাজিউর রহমান তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি জানান, গত ৫ নভেম্বর ডিলার আক্তারুজ্জামান সাজু ৩০ কেজি ওজনের ৫৪২ বস্তা চাউল ফকিরগঞ্জ খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করে সরকারি বরাদ্দকৃত আমন চাল আত্মসাত করে নিম্নমানের কম দামের চাল দিয়ে বস্তা ভরে ইউনিয়ন পরিষদ কক্ষে গুদামজাত করেন এবং পরদিন ওই চাউল সুবিধাভোগিদের মাঝে বিতরণ করেন।
ইউপি সদস্য বলেন, সুবিধাভোগি হত-দরিদ্ররা খাবার অনুপযোগী নিম্নমানের চালের বিষয়টি আমাকে জানালে আমি এর প্রতিবাদ করি এবং ডিলারকে চাউল বদলে দিতে বলি। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ডিলার আক্তারুজ্জামান সাজু আমাকে মারধরও করে।
এদিকে, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক হাসান আল নাঈমকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন মর্মে গত ১৫ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন। অথচ দীর্ঘদিনেও অজ্ঞাত কারণে ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পরও কিভাবে ডিলার দায়িত্বে বহাল? এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন সুলতানা বলেন, পুণঃতদন্তের জন্য আবেদন করেছে অভিযুক্ত ডিলার আক্তারুজ্জামান সাজু। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একই প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান জানান, এটার সিদ্ধান্ত নিবে উপজেলা কমিটি। তারপরও যেহেতু একবার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে তাই আপাতত অন্য কাউকে দায়িত্ব দেয়া উচিত।