প্রতিনিধি ৫ মার্চ ২০২০ , ৯:৫৬:০২ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশার একটি ফসলরক্ষা বাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধ ঘেষে একটি ডোবা অপরিকল্পিতভাবে সেচের কারণে উপজেলার সোনামড়ল হাওরের ৩৫নং প্রকল্পের দিগজান কুড় নামক জায়গায় এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে বাঁধটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দ্রুত বাঁধটি মেরামত করা না হলে আগাম বন্যায় ফসলহানীর শঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি জাকির হোসেন বুধবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছেন।
জানা যায়, উপজেলার সোনামড়ল হাওরে ৩৫নং প্রকল্পের অধীনে ৬০০ মিটার বাঁধের কাজে জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ২২ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের দিগজান গ্রামের পাশে একটি কুড় (ডোবা) রয়েছে। ডোবাটির মালিকানা নিয়ে গ্রামের লোকজনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। গত সোমবার রাতে দিগজান গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে তৈমুর মিয়া, মিন্টু মিয়া, মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে আলী হোসেন, জাকির হোসেন, শেহারুল ডোবাটিতে স্যালু মেশিন বসিয়ে সেচ দিয়ে মাছ শিকার শুরু করে। এর পরদিন অর্থ্যাৎ মঙ্গলবার ধর্মপাশা থানা পুলিশ সেচ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং স্যালু মেশিন জব্দ করে। কিন্তু বাঁধের গোড়া থেকে পানি সরে যাওয়ায় বাঁধটি ঝুঁকির মুখে পড়ে। ডোবাটি গভীর থাকায় বাঁধে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়।
অভিযুক্ত তৈমুর মিয়া বলেন ডোবাটি আমাদের। কিছু জায়গার মালিকানা নিয়ে ঝামেলা রয়েছে। মাছ শিকারের পর ডোবাটিতে পানি ছেড়ে দিতাম। কিন্তু পুলিশ এসে নিষেধ দেওয়া পানি ছাড়তে পারিনি, তাই বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে।’
৩৫ নং পিআইসির সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘ডোবা সেচে মাছ শিকারের কারণে ফসলরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু তালেব বলেন, ‘এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগটি ধর্মপাশা থানার ওসির কাছে পাঠিয়েছি।’