প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২০ , ৬:০২:৪৪ অনলাইন সংস্করণ
এম এ মোতালিব ভুঁইয়াঃ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দোয়ারাবাজারে সরকারি নির্দেশনা মানছে অনেকে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোদের জন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে না থেকে খেলার মাঠ, রাস্তায়, বাজার,গ্রামের চায়ের দোকানে আড্ডা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান, ঔষুদের দোকান ছাড়া বাকি দোকান সমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। ব্যবসায়ীরা সেই নির্দেশে দোকানপাট বন্ধ রাখে। আবার অনেকেই নির্দেশনা না মেনে খোলা রেখেছে দোকানপাট। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দোয়ারাবাজারের বিভিন্ন গ্রামে এসেছে লোকজন। তারাও ঘরে না থেকে রাস্তাঘাটে আড্ডায় মেতে ওঠেছে। জনসমাগম যেখানে বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে, সেখানে জনসমাগম বিরাজমান। গ্রামেই এখন ঈদের আমেজ। সচেতন মহল মনে করেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে কয়েক সপ্তাহ বাড়িতে অবস্থান করলেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। প্রশাসনের নজরদারী না বাড়ালে দোয়ারাবাজারে যেকোন সময় করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়বে বলে মনের করেন এলাকার সচেতন মহল।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আকরামুল হাসান মাসুম বলেন যারা দোকান খোলা রেখেছেন সেই দোকান মালিকদের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে জরিমানা করা উচিত।
সুরমা ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মামুনুর রশিদ বলেন,খুবই দুক্ষজনক, জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হওয়া নয় কিন্তু বাজারে আড্ডা দিচ্ছে আগামীকাল থেকে জরুরী কথাটি বাদ দিতে হবে।একেবারে টোটাল শটডাউন করতে হবে।দোয়ারাবাজার থানার ওসিসহ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন,জনগনকে সচেতন করার চেষ্টা করছি কিন্তু হচ্ছেনা, উপজেলা প্রশাসন ও থানার নজরধারী খুবই কম থাকায় অনেকেই দোকান খোলা রেখে আড্ডা দিচ্ছে,উপজেলা প্রশাসনের কঠোর হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো.আবুল হাশেম বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করায় যথেষ্ট। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার মাইকিং করা হচ্ছে।আমি নিজে টেংরাবাজার গিয়ে মানুষজনকে বলে এসেছি তার রেজাল্ট কি এই চিত্র? যারা সরকারি নির্দেশনা মানবে না তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা বলেন,বসে আড্ডা দেওয়া যাবেনা।প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সোজা বাড়ী যেতে হবে। যারা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা না মানবে তাদেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান, ঔষুধের দোকান ছাড়া বাকি সব দোকান বন্ধ থাকিবে। জনসমাগম ও কয়েকজন মিলে আড্ডা না দিতে নির্দেশনা দেন।