প্রতিনিধি ১৯ মার্চ ২০২০ , ২:১৩:৪২ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুর সদর বাজার সহ সবকটি হাট-বাজারে মাস্ক এর বাজার মূল্য আকাশচুম্বী।মরনব্যধী করোনাভাইরাস এর আক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষা রাখার লক্ষে মাস্ক ক্রয় করতে দিশেহারা জনসাধারণ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে এক ব্যাক্তি মৃত্যু বরন করায় এবং নতুন করে আরো অনেকে আক্রান্ত এমন সংবাদ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিকস ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ার ভিত্তিতে এই রোগ থেকে সুরক্ষা থাকার লক্ষে সারা দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদর বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজারে মাস্ক ক্রয়ের ধুম পড়েছে। সুযোগ বুঝে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী চড়া মূল্যে মাস্ক বিক্রি করছেন।
আজ ১৯ শে মার্চ রোজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর উপজেলা সদর বাজার সহ বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই মাস্ক ক্রয় করতে দোকানে ভীড় করছেন ক্রেতা সাধারণ। দর কষাকষি করে ক্রয় করেছেন ক্রেতারা। তন্মধ্যে স্বল্প আয়ের লোকজন মাস্কের আকাশচুম্বী মূল্য শুনে মাথায় হাত দিয়ে শুন্য হাতে চলে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিন আগেও যে মাস্কের মূল্য ছিল মাত্র ৫ টাকা সেটা আজ ৫০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করছেন বিক্রেতারা। মাস্কের কোয়ালিটিকে পুঁজি করে মূল্য বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা। এই সুযোগে সংকট এর অজুহাত দেখিয়ে মাউথ মাস্ক, অ্যান্ট ডাস্ট মাস্ক( সার্জিক্যাল মাস্ক) দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। সর্বনিম্ন ৪০ থেকে ১৭০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে মাস্ক।
রাস্তার ফুটপাতে, রকমারি দোকানে মাস্ক বিক্রি হলেও ফার্মেসি গুলোতে মাস্কের সংকট এর কথা বলা হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, বেশী মূল্যে মাস্ক ক্রয় করায় তারা বেশী মূল্যে বিক্রি করছেন।
এ ব্যাপারে ক্রেতা সাধারণ তাদের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, মরনব্যাধী করোনাভাইরাস এর কারণে মাস্কের ব্যবহার বেড়ে চলেছে। এই সুযোগে এর অজুহাত দেখিয়ে মাস্কের মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ী ফার্মেসী মালিকরা।মূলত করোনাভাইরাস এর খবরে সচেতনতা হিসাবে মাস্ক ব্যবহার করছেন। যার ফলে চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন সচেতন মহল।