প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২০ , ১১:৩৪:২১ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ৪ দোকান থেকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন আদালতের বিচারক মোঃ ইয়াসির আরাফাত।
২০ শে মার্চ রোজ শুক্রবার ১০ ঘটিকা থেকে বিকাল দুই ঘটিকা পর্যন্ত সুনামগঞ্জের প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুর বাজারে মূল্য অস্বাভাবিক মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ ইয়াসির আরাফাত এর নেতৃত্বে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ এর উপস্থিতিতে অত্র বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বেশী মূল্যে পেয়াজ সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস- পত্র বিক্রি করার অপরাধে ফারিয়ান কামরান স্টোর ২ হাজার টাকা,রমাকান্ত দাস ২আসকির আলী ৩ হাজার টাকা, রিপন পাল এর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মোঃ ইয়াসির আরাফাত বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মস্ক ও পেয়াজ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস- পত্রের দাম বাড়াচ্ছে এমন অভিযোগ এর ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগ এর সত্যতা পেয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০১৯এর বিভিন্ন ধারায় ৪ টি দোকান থেকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এবং কৃত্রিম সংকট তৈরী না করার জন্য ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। একই সাথে করোনাভাইরাস সতর্কতায় উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
ক্রেতা সাধারণ বলেন,করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় জগন্নাথপুরে হঠাৎ করে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদীর মূল্য বেড়ে গেছে। সকাল থেকে জগন্নাথপুর বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও দুপুর প্রায় ১২ ঘটিকা থেকে ৭০ থেকে ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই ভাবে ১৫ টাকা কেজি মূল্যের আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি ১৭০০ টাকা মূল্যের ৫০ কেজির চালের বস্তা ২০০০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ১০ টাকা মূল্যের প্রতি পিচ মাস্ক ৪০ থেকে ৫০ টাকায় ও একটু উন্নত কোয়ালিটির ২০ টাকার মাস্ক ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালীন সময়ে বাজার কিছু স্থিতিশীল হলেও “যে লাউ সেই কদু”।