• রাজনীতি

    সুনামগঞ্জ আ.লীগের কর্মীসভায় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত

      প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ৬:০৪:৩৪ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেছেন, দলে অনুপ্রবেশকারি, জমি দখলদার, মাদক, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও দুর্নীতিবাজদের ঠাঁই নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, দল তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার, তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না। উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং অপশক্তির সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দলের সভানেত্রীর নির্দেশনায় নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে। প্রতিটি কমিটিতে মেধাবী, দক্ষ ও ত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের মূল্যায়ন করছেন। সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগকে সুসংহত ও শক্তিশালী করতে শিগগিরই জেলা ও পৌরসভা,উপজেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
    গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টায় হাসনরাজা মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
    জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুটের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার এম এনামুল কবির ইমন এর পরিচালনায় কর্মী সভায় সাখাওয়াত হোসেন শফিক আরো বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচন করে বিজয়ী হওয়া ব্যক্তিদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া যাবে না। সাবেক ছাত্রনেতা শফিক বলেন, নেতৃত্বের প্রতি যাদের শ্রদ্ধা ও সম্মানবোধ নেই, তারা বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত সৈনিক হতে পারে না। তাদের কাছে দল কখনো নিরাপদ নয়।
    তিনি বলেন, দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যেতে এখনো অপশক্তিগুলো তৎপর রয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগিয়ে যাওয়াকে মেনে নিতে পারছে না। শেখ হাসিনা আছেন বলেই বাংলাদেশ জেগে আছে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় এ নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়ন হয়। গ্রাম-বাংলার সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে।
    সাবেক ছাত্রলীগনেতা শফিক বলেন, যখন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী সুশৃঙ্খল এবং সুসংগঠিত হবে-তখন শেখ হাসিনাকে আর পেছনে থাকাতে হবে না। তিনি নিশ্চিন্তে এগিয়ে যাবেন এবং দেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল ভোগ করতে পারবে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শফিক আরো বলেন, ’৮৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি করা কষ্টসাধ্য ছিল। তখন রাজনীতি করতে গিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের হামলার শিকার হয়েছি। শরীরের অনেক স্থানে এখনো গুলির চিহ্ন রয়েছে। ২০০৬ সালে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে ছাত্র রাজনীতি শেষ করেছি। এরপর এতোদিনে কোথাও কোন পদ ছিল না, এরপরও ধানমন্ডি ছাড়িনি। জয় বাংলা শ্লোগানে শেখ হাসিনার কাফেলায় আগের মতো সক্রিয় ছিলাম।
    বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের অনুভূতি উপলব্ধি বিশ্বাস করেন বলেই আওয়ামী লীগের কমিটিতে অনেকেই স্থান পাচ্ছেন। সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে নেত্রী আমাকে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সদ্য সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সায়েমকে উপদপ্তর সম্পাদক করেছেন। সিলেটে দুঃসময়ে যারা ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে মূল্যায়নের আভাস দিয়ে তিনি বলেন, তারা এখন সোচ্চার হলে তাদেরকে রাজনীতির মূলধারায় নিয়ে আসব।
    সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীল নেতাদের উদ্দেশ্যে সাখাওয়াত শফিক বলেন, কর্মী না থাকলে নেতা হওয়াতে কোন আনন্দ কিংবা কৃতিত্ব নেই। রাজনীতির সুফল ঘরে তুলতে তিনি প্রত্যেক ইউনিটে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ও কর্মীবাহিনী গঠনের আহ্বান জানান। তিনি সকল অপশক্তি মোকাবেলায় সিলেটের নেতাকর্মীর পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন এবং দায়িত্ব পালনে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। এর আগে সুনামগঞ্জের অপেক্ষমান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সাখাওয়াত শফিক বলেন, আমি কোন একক ব্যক্তি বা নেতার নামে শ্লোগান শুনতে চাই না। শ্লোগান হবে একটাই- জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, আমি প্রশাসক হিসেবে নয়, শেখ হাসিনার বার্তা নিয়ে আপনাদের বন্ধু হিসেবে এখানে এসেছি। আপনাদের সবার কথা শুনবো এবং সুনামগঞ্জে দলকে সুসংগঠিত ও গতিশীল করতে আপনাদের কথা ও ভাষা নেত্রীর কাছে পৌঁছে দিব। কমিটিতে পদ-পদবির ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, আপনারা ধৈযের্যর সাথে মেধা দিয়ে এগিয়ে যাবেন। পরিবেশ সুসংহত ও সুশৃঙ্খল রাখবেন। অবশ্যই ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হবে।
    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোন অপশক্তির সাথে আপোষ করিনি। বরং তাঁর আদর্শ লালন করতে গিয়ে আত্মত্যাগ করেছি, জেল খেটেছি। তিনি বলেন, এখানে উপস্থিত সবাই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। তৃণমূলের এসব নেতাকর্মী কোন
    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য এডভোকেট আপ্তাব উদ্দিন,জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট শফিকুল আলম,সহ সভাপতি ড.খায়রুল কবির রুমেন,যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হায়দার চৌধুরী লিটন,সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু শংকর দাস, জুনেদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,ছাতক পৌরসভার মেয়র আবুল কালাম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আবুল কালাম,দপ্তর সম্পাদক নুরে আলম ছিদ্দিকী উজ্জ্বল,জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টু ,জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম আহমে,সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুবিন, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ অপু,জেলা মুক্তিযোদ্ধালীগের সভাপতি এডভোকেট আসাদ উল্লাহ সরকার,জেলা যুব শ্রমিকলীগের সভাপতি মোহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন তালুকদার,সদর যুবলীগের সভাপতি এহসান আহমেদ উজ্জ্বল,সদর সেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক মুখলিছুর রহমান,আওয়ামীলীগ,যুবলীগ,শ্রমিকলীগ,সেচ্ছাসেবকলীগ,ছাত্রলীগ সহ প্রতিটি উপজেলা,ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    আরও খবর

    Sponsered content