প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ১০:০৯:৩৮ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার ছাত্রীকে খারাপ ভিডিও দেখতে বাধ্য করার অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিনকে (৪৬) পুলিশে দিয়েছে অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার বিকেলে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা প্রথমে বিদ্যালয় ঘেরাও করে ঐ শিক্ষককে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ছাত্রীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর চার ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ছাদে ঢেকে নিয়ে যান প্রধান শিক্ষক। এ সময় তার মোবাইলে থাকা খারাপ ভিডিও ক্লিপ ছাত্রীদের দেখান।
ছাত্রীরা দেখতে না চাইলে ছাত্রীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন প্রধান শিক্ষক। তাদেরকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। এ সময় দুই ছাত্রী পালিয়ে আসলেও দুজনকে ছাদে আটকে রাখেন ওই শিক্ষক। পরে অভিভাবকরা খবর পেয়ে এলাকার লোকজনকে জড়ো করে ওই শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখেন। পরে শিক্ষকের ফোন পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে তাদের হেফাজতে নেয়। অভিযোগকারী এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের অশ্লীল ভিডিও দেখতে বাধ্য করেছেন। কাউকে এ নিয়ে কোনো কিছু বললে স্কুল থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন তিনি।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এড.আবুল হোসেন জানান, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং লজ্জার। ওই এলাকা থেকে মঙ্গলবার দুপুরে ফোনে তাকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই বিদ্যালয়ে যান।
এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ সহিদুর রহমান জানান, তারা খবর পেয়ে ওই বিদ্যালয়ের গিয়ে দেখনে কয়েকশ’ লোক বিদ্যালয় ঘেরাও করে আছে। পরে প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসেন তারা। তিনি বলেন,‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। ওই শিক্ষক বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। এঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা হয়নি।