• অনিয়ম / দুর্নীতি

    দোয়ারাবাজারে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা প্রধান শিক্ষকের ভবনে

      প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ২:৫০:৫৫ অনলাইন সংস্করণ

    এম এ মোতালিব ভুইয়াঃ দোয়ারাবাজারের পেস্কারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের দরজা খুলে নিজের ভবনে লাগিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক! অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মোঃ হারুনুর রশিদ। তিনি দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়নের পেস্কারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

    খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পেস্কারগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা জানালা নষ্ট হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের দরজা জানালা খুলে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আবদ্ধ করে রাখাহয় ,যেখানে ভাল মানের দরজা ছিল, যা আরো অনেক বছর ব্যবহারের উপযোগী ছিল। প্রধান শিক্ষক দরজার প্রতি লোভ ছিল বিধায় ভাল মানের ব্যবহারের উপযোগী দরজা খুলে নতুন দরজা লাগান। কিছু দিন যাওয়ার পরে বিদ্যালয়ের কাউকে না জানিয়েই তিনি দরজা নিয়ে নিজের দ্বিতল ভবনের নিচ তলায় লাগিয়ে দেন। অভিযোগ উঠেছে, সরকারি পরিপত্র অনুসরণ না করে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দরজা নিয়ে নিজের দ্বিতীয় তলা ভবনে লাগিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক।

    স্থানীয়দের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী)দুপুরে সরেজমিনে এ প্রতিবেদক দেখতে পান,বিদ্যালয়ের ষ্টোর রুমে রাখা টেবিল চেয়ার দরজা জানালা আবদ্ধ করে রাখা হলেও কয়েকটি দরজা জানালা ষ্টোর রুমে নেই। এ সময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ বলেন, দরজা প্রায় ৯ মাস আগে নিয়েছেন সেদিন আমরা বিদ্যালয়ে ছিলামনা দুপুরের খাবার খেতে আরেক বাড়িতে দাওয়াতে গিয়েছিলাম আসার পর ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে জানতে পারলাম প্রধান শিক্ষক হারুন স্যার দরজা ভ্যানগাড়িতে করে কোথাও নিয়ে গেছেন। তারা শুনেছেন, প্রধান শিক্ষক নিজের ভবনে দরজা লাগিয়েছেন।

    তবে পেস্কারগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনুর রশিদ বিদ্যালয়ের দরজা নিজের ভবনে লাগিয়ে ব্যবহারের কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি বিদ্যালয়ের দরজা ফ্রি নেননি দরজা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে আলোচনা করে ১২শত টাকা দিয়ে ক্রয় করেছেন তবে বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান না করেই বিদ্যালয়ের দরজা নিজের ভবনে লাগিয়েছেন এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

    বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস আগে বাজারে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় প্রধান শিক্ষক আমাকে বলেছেন ভাঙ্গা দরজাটা নিবেন টাকা দেওয়ার কোন আলোচনা হয়নি আমি দরজা দেখেনি।
    এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার সহকারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু রায়হানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,সরকারী বিদ্যালয়ের কোন মালামাল প্রধান শিক্ষক নিজের বাসা বাড়ীতে ব্যবহার করতে পারেন না। বিদ্যালয়ের দরজা সরকারী ভাবে নিলাম ছারা তার ভবনে ব্যাবহার করার সুযোগ নেই , নিলাম ছাড়া কেউ বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রিও করতে পারবে না। তিনি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

    আরও খবর

    Sponsered content