প্রতিনিধি ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ৯:১৫:২২ অনলাইন সংস্করণ
মোঃ হুমায়ূন কবীর ফরীদি, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সমাগত ঋতুরাজ বসন্ত।বিদায় নিচ্ছে হাড়কাঁপানো শীতের মাস মাঘ। আর মাত্র কয়েকটি দিন পরই ফাল্গুন মাস। এ মাসেই প্রকৃতি আপন খেয়ালে সবুজ শ্যামলের ছায়া ঘেরা সোনার বাংলার রূপ বদলায়। ফাগুনে আগুন রাঙা রূপ ধরা দেয় প্রকৃতিতে। ফুল-ফলে সুবাসিত হয় চারিদিক। মধু আহরণে এ গাছ থেকে ওগাছে ঘুরে বেড়ায় মৌমাছিরা। পাখিদের কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে ফুল ও ফলের গাছ। নিশিত রাতে ঘুমভাঙায় কোকিল এর সু-ললিত কন্ঠস্বর।
সেই ফাগুন আসার আগেই মাঘের শেষে রং বদলাতে শুরু করেছে জগন্নাথপুর সহ সুনামগঞ্জের প্রকৃতি।ইতিমধ্যে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রকৃতি রাঙিয়ে তুলেছে আমের সোনালী মুকুল।
সরেজমিনে দেখাযায়, গ্রাম হতে গ্রামান্তর , সবখানেই অনেকটা দৃশ্যমান আমের মুকুল। গাছে আমপাতার সবুজ বিছানায় মুকুলের সোনালি রেণু যেনো ফুলশয্যা সাজিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে ফাগুনকে। সেই সঙ্গে বিদায় নিচ্ছে শীতের মাস মাঘ।
ফাগুন মাসে কেবল আমের মুকুল নয়, কাঁঠাল, লিচু, কমলা, টক-মিষ্টি ফল বরইসহ নানাবিদ ফসলের দেখা মিলে গাছে গাছে। ফাগুনের আহ্বানে প্রকৃতি
রাঙাতে ফোটে শিমুল এর ফুল।
কৃষিবিদদের মতে, আমের গাছে এখনো মুকুল আসার পূর্ণ সময় হয়নি। তারপরও গাছে গাছে আমের মুকুল দেখা যাচ্ছে। গাছের আগাম মুকুল মাঘের ঘন কুয়াশায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা।
জগন্নাথপুর উপজেলার মোল্লারগাঁও নিবাসী মিন্টু রঞ্জন ও যোগল নগর গ্রামের মোঃ মর্তুজ আলী সহ অনেকেই বাড়িতে সবক’টি গাছে আমের মুকুল এসেছে। মুকুলের বাহারি রং বাড়ির প্রকৃতির রং বদলে দিয়েছে। আমের মুকুল ঘিরে মধু আহরণে মৌমাছির ঘনঘটা আর পাখিদের কলতানে মুখর প্রকৃতি। তবে, এবার একটু আগেই গাছে মুকুল এসেছে। তাই ঝরে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, আমের মুকুলের কেবল দেখা মিলেছে। এখনো পুরোপুরি ধরেনি। তবে একটু আগেই আমের মুকুল আসায় ঘন কুয়াশায় মুকুল ঝরে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। অবশ্য সে প্রভাব মনে হয় আর পড়বে না।