প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ , ৭:০১:৩৭ অনলাইন সংস্করণ
শাল্লা প্রতিনিধি– ২৫ ফেব্রুয়ারী সারা দেশে প্রকাশ হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি’র ফলাফল। তবে সুনামগঞ্জ জেলার ১১টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তার ওয়েবসাইট ও নোটিশবোর্ডে এ ফলাফল প্রকাশ করা হলেও এর ব্যতিক্রম ঘটেছে শাল্লায়। শাল্লা উপজেলা শিক্ষা অফিসে কর্মরত ইউডি মৃদুল চন্দ্র দাসের গাফিলতি ও উদাসিনীতার কারণে প্রকাশিত বৃত্তির ফলাফল জানতে পারেনি উপজেলার ক্ষুদে শিক্ষাথর্ীরা। ফলে এনিয়ে মেধাবী শিক্ষাথর্ীদের অভিভাবকের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় শাল্লা উপজেলার ১০৪টি বিদ্যালয়ের মোট ১হাজার ৬শ’ ৯জন শিক্ষাথর্ী অংশ গ্রহণ করে। গত ৩০ ডিসেম্বর এ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়। পরীক্ষার ওই ঘোষিত ফলাফলের মধ্যেই মেধাভিত্তিক ও সাধারণ কৌটায় বৃত্তির ফলাফল ঘোষনা করার কথা ২৫ ফেব্রুয়ারী। সেই সুবাধে শাল্লা শিক্ষাথর্ীদের অভিভাবকেরা তাদের প্রিয় সন্তানদের ফলাফল জানার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ভিড় জমান। কিন্তু ইউডি মৃদুল চন্দ্র দাসের হাতে সময় না থাকায় ও বিকাল ৫টা বেজে যাওয়ায় তিনি অফিস থেকে দ্রুত বের হয়ে যান। মৃদুল অফিস বন্ধ করে বের হয়ে গেলে অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে ইউডি মৃদুলের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিসেই ছিলাম। কিন্তু জেলা অফিস থেকে আমাদের এখানে কোনো মেইল আসেনি।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বীন মোহাম্মদের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এ ফলাফলতো অফিসের নোটিশ বোর্ডে সাটিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু কেন দেয়নি আমি জানি না। তবে এবিষয়ে ইউডি মৃদুলের সাথে আমি কথা বলবো।
বিষয়টি জানতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।