প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২০ , ৭:০৫:০৮ অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিনিধি। সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার চাঁরাগাঁও সীমান্তে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আজ ২৬.০১.২০ইং রবিবার সকাল ৬টা থেকে অবৈধভাবে ভারত থেকে নিয়ে আসা সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লক্ষলক্ষ টাকার পাথর পাচাঁর শুরু করেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চোরাচালানী সিন্ডিকেট চক্র।
এব্যাপারে খোঁজ নিজে জানাযায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশন সংলগ্ন এলাকা দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রায় ৪মাস পূর্বে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারীরা অবৈধ ভাবে ভারতের ভিতর থেকে শ্রমিকদেরকে দিয়ে ট্রলি বোঝাই করে প্রায় ১০হাজার মেঃটন পাথর পাচাঁর করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আনে।
এঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ভারতের ভিতর থেক নিয়ে আসা ওই পাচাঁরকৃত পাথরগুলো দীর্ঘদিন সীমান্তেই আটক রাখে বিজিবি। সেই সাথে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাথর পাচাঁর বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় চারাগাও বিজিবি ক্যাম্পের কিছু অসাধু বিজিবি সদস্যকে ম্যানেজ করে আজ রবিবার সকাল ৬টা থেকে অর্ধশতাধিক ট্রলি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত – বাংলাদেশ জিরো পয়েন্ট(নো ম্যান্স ল্যান্ড) এলাকা থেকে পাচাঁরকৃত আটক থাকা পাথরগুলো সোর্স পরিচয়ধারী মোফাজ্জল,দীপক ও শফিকুল ইসলাম ভৈরবগং প্রকাশ্যে বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়েই হাওর পাড়ের নৌকা ঘাটে নিয়ে যায়।
এবংভারত থেকে আবার পাথর পাচাঁর শুরু করে। স্থানীয় সুশীল সমাজে প্রশ্ন উঠেছে সোর্স পরিচয়ধারী মোফাজ্জল,দীপক ও শফিকুল ইসলাম ভৈরবির কুটির জোর কোথায়। সেই তাদের নিয়ন্ত্রণেই চোরাচালানীরা দীর্ঘদিন যাবত প্রতিরাতে কয়লা,মদ,গাজা ও ইয়াবা পাচাঁর করছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসী ।
এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির খবর পেয়ে সীমান্ত এলাকায় র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা,মদ,গাজা,বিড়ি ও অস্ত্রসহ অনেক চাঁদাবাজ ও চোরাচালানীকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে বিজিবি নামমাত্র অবৈধ মালামাল পরিত্যক্ত অবস্থায় আটক করলও কোন চোরাচালানী ও সোর্সদের কখনোই গ্রেফতার করেনা।
তবে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করার জন্য চোরাচালানীদের উৎসাহিত করাসহ মামলা নেওয়ার জন্য থানায় ফোন করে অনুরোধ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবত আটক থাকা অবৈধ পাথরগুলো পাচাঁরের বিষয়ে জানতে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে কল করলে সুবেদার দিলোয়ার উত্তেজিত হয়ে বলেন,আমরা কি করব না করব সেটা আমাদের ব্যাপার তাতে সাংবাদিকদের কি,কিছু জানার থাকলে ক্যাম্পে এসে দেখা করুন।
চোরাচালানীদেরকে ১সপ্তাহের জন্য অবৈধভাবে পাথর পাচাঁরের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলমের বক্তব্য জানার জন্য তার সরকারী মোবাইল নাম্বারে (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) বারবার কল করার পরও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছেন সাংবাদিকগনসহ এলাকার সচেতন জনসাধারণ।