প্রতিনিধি ২৫ জানুয়ারি ২০২০ , ৭:৫৯:৩৯ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি।। ইসলাম শান্তির ধর্ম, আর এ ধর্মে রয়েছে মানুষের জন্য কল্যাণকর জীবনব্যবস্থা। এমন আত্ম-উপলব্ধি থেকে সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজে’লার ১নং বেহেলী ইউনিয়নের রহিমপুর গুচ্ছগ্রামে একই পরিবারের ৪ জন হিন্দু ধ’র্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল উদ্দিনের আ’দালতে গিয়ে এফিডেভিটের করে একই পরিবারের ৪ জন সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইস’লাম ধ’র্ম গ্রহণ করেছেন। এ খবরটি জানাজানি হলে ছাতক উপজেলা দিনব্যাপী ব্যাপক সাড়া দেখা যায়। ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈয়দগাও ইউনিয়নের গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃ’তি ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক সিরাজুল ইস’লাম জামে মসজিদ খতিব মাওলানা আবু ফজল দ্বোহা গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে তাদেরকে কলিমা পড়ে হিন্দু ধর্মত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন।
সুত্রে জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজে’লার ১নং বেহেলী ইউনিয়নের রহিমপুর গুচ্ছগ্রামে আবুল্লাহ (৩০) ইস’লাম ধ’র্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বৃহস্পতিবার স্বপরিবারে আ’দালতে গিয়ে নাম পরিবর্তনে করে আব্দুল্লাহ এবং স্ত্রী’ শ্রীমতি বালা দাস (২৫) স্থলে মোছাঃ রহিমা জান্নাত হামিদা, বড় মে’য়ে নন্দিনী (৬) স্থলে আয়েশা জান্নাত আক্তার, ছোট ছে’লে মনি অনুরাগ স্থলে মোঃ রায়হান আহম’দ রাহি নাম রেখে ইস’লাম ধ’র্ম গ্রহণ করেন। আব্দুল্লাহ ইস’লাম ধ’র্ম গ্রহণ শেষে জানান, শৈশব থেকেই আমি ইস’লাম ধ’র্মের প্রতি দুর্বল ছিলাম। বিয়ের পর সংসারী জীবনের একপর্যায়ে স্ত্রী’র কাছে বিষয়টি প্রকাশ করলে সে আমাকে অনুপ্রাণিত করে। দীর্ঘ সময়ে মু’সলমানদের রীতিনীতি পর্যালোচনা করে আল্লাহ এবং প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স:) প্রতি বিশ্বা’স রেখে স্বপরিবারে হিন্দু ধ’র্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি।
এরপর ফয়েজ আহমদ ও গাড়ি চালক হাসান আহমদ নামে দুই মু’সলিম ভাই থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং গোবিন্দগঞ্জ ব্যবসায়ীরা শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে স্ব-পরিবারে খাবার খাইয়ে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করে দেয়ার আশ্বাস দেন। সুনামগঞ্জ জে’লার সাবেক আইনজীবি আলহাজ্ব আবুল কালাম কেনু মিয়া জানান, আব্দুল্লাহ আমাদের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় কয়েক দিন আগে তিনি আমাকে ইস’লাম ধর্ম গ্রহণের বিষয়ে জানালে তাকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। এখন তিনি আমার মু’সলিম ভাই তাকে ও তার ছেলেমেয়ের লেখাপড়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি জানান।
গত শুত্রুবার তাদের দুজনকে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক একলক্ষ একটাকা দেন -মোহর ধার্য করে কাজী মাওলানা আব্দুস সামাদ রেজিষ্টারি কাবিননামা করে দেয়। আবদুল বাছিত শেখ উকিল দিয়ে মুজিবুর রহমান ও আব্দুল করিমকে বরের পক্ষে স্বাক্ষী ও কনের আবুল লেইছ মোহাম্মদ কাহার ও আব্দুস সামাদকে স্বাক্ষী রেখেই ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক তাদেরকে বিয়ে পড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাক্তার আব্দুল্লাহ,হাফিজ আনোয়ার,পীর আব্দুল হান্নান, ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রনি,সদরুল আমিন সোহান,ফয়েজ আহমদ কাজী এমদাদ আহমদ,মাওলানা আব্দুল মতিন,হাফিজ রফিকুল ইস’লাম তালুকদার,ফয়জুল ইস’লামসহ শতাধিক গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিয়ের পর খেজুর দিয়ে উপস্থিতিদের আপ্যায়ন করা হয়। পরে তাদের কল্যাণ কামনায় মসজিদে দোয়া করা হয়।