প্রতিনিধি ২৯ জানুয়ারি ২০২০ , ৭:৩৫:৫০ অনলাইন সংস্করণ
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের শ্যামরচর বাজারে হোটেল ব্যবসার আড়ালে উঠতি বয়সের নারীদের নিয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। এই শ্যামারচর বাজারে হোটেল ব্যবসায়ী প্রেমতোষ দাস দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুন্দরী কম বয়সী রমনীদের এনে হোটেল ব্যবসার আড়ালে দেহ ব্যবসার এই হাট বসিয়ে প্রতিনিয়ত কামিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা। সে দীর্ঘদিন ধরে আইন শৃংখলা বাহিনীর চোখ ফাকিঁ দিয়ে এ সমস্ত অপকর্ম করলেও সে যেন সব সময় থেকে যাচ্ছে অধরা। ঐ সমস্ত ঘটনাটি অনেকেই জানার পরও মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলছেন না তারা। অপরদিকে এই নারী ব্যবসার কারণে এলাকার উঠতি বয়সের যুবকরা প্রতিনিয়ত হচ্ছেন বিপদগামী। ফলে যুবকদের অভিভাবকরা রীতিমতো তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। হোটেল ব্যবসায়ী গ্রেমতোষ দাস শ্যামারচর গ্রামের মৃত গ্রেমানন্দ দাসের ছেলে। সে এখনো অবিবাহিত বলে ও জানা যায়।
মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পাগলা থেকে রাতে এক কম বয়সী নারীকে নিয়ে আসে তার হোটেলে। এনে সে খদ্দের যোগাড় করে রাতভর চালায় দেহ ব্যবসা। এই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে গেলে সেই নারীর দালাল গ্রেমতোষ দাস পরে চরম বিপাকে। পরবতর্ীতে স্থানীয় শ্যামারচর গ্রামের সুমন মিয়া এসে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন দিলে এ যাত্রায় বিপদ থেকে রক্ষা পেয়ে যায় বলেও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়। তার এমন অপকর্মের প্রতিকার চান স্থানীয় লোকজন। তবে শেষ পর্যন্ত নারী নিয়ে ধরা পরা দেহ ব্যবসায়ী প্রেমতোষ দাস শেষ পর্যন্ত লোকজনের কাছে ক্ষমা চেয়ে মুক্তি লাভ।
এ ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শশী ও বিষয়টি নিস্পত্তিকারী শ্যামারচর গ্রামের মোঃ সুমন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,সাবাজ মিয়া নামে আমার এক বন্ধু ফোনে আামকে জানায় যে প্রেমতোষ পাগলা থেকে একটি নারী তার হোটেলে নিয়ে এসেছে দেহ ব্যবসা করার জন্য। তিনি পরে বিষয়টি দিরাই থানা পুলিশকে অবহিত করেন। এই প্রেমতোষ ভাল মানুষ বলে এতদিন জানলেও গতকাল মঙ্গলবার রাতে সরাসরি যখন তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে এক নারীসহ তাকে হাতেনাতে ধরা হয় তখন বুঝতে পারলাম সে একজন দেহ ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে হোটেল ব্যবসায়ী প্রেমতোষ দাসের সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে সে দেহ ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে সে সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন স্থানীয় সাবাজ মিয়া সি এনজি দিয়ে পাগলা থেকে ঐ নারীকে রাতে আমার হোটেলে ঢুকে। আমি হোটেলের পেছনে গেলে সাবাজ আমার দোকানের সাটার্র লাগিয়ে মেয়েটির সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। আমি ও ঘরের ভেতরে ঢুকলে একটু পরে স্থানীয় জসিম মিয়া এসে তার বন্ধু পুলিশ ফাড়িঁর কনস্টেবল নয়নকে নিয়ে এসে ঐ নারীসহ আমাকে আটকিয়ে রাখে। পরবতর্ীতে জসিমের ভাই সুমন মিয়া,সামছুল ইসলাম,লিটন ও সুরঞ্জন ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন। তবে ঐ ঘটনার মূলে সাবাজ মিয়া ও জসিম বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম নজরুল ইসলাম জানান, আমি খোজ নিয়ে দেখছি এবং এ ধরনের ঘটনার সাথে প্রেমতোষ জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।