• অনিয়ম / দুর্নীতি

    নীতিমালা লঙ্ঘন করে শাল্লায় বিল শুকিয়ে অবাধে চলছে মাছ আহরণ

      প্রতিনিধি ১৩ জানুয়ারি ২০২০ , ১২:২৭:২৭ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ভান্ডার বিল। প্রায় ৬৪ হেক্টর জায়গা নিয়ে এর অবস্থান। এর মধ্যে কিছু অংশ চড় পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে গেছে। মৎস্য আহরণের জন্য এই মৌসুমে পূর্বের অংশের জলমহাল সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। বেশি মাছ ধরার লোভে ছোট জলমহালগুলো শুকিয়ে ফেলছেন সংশ্লিষ্ট ইজারাদাররা। নীতিমালার কোনো তোয়াক্কা না করেই এমন কর্মকান্ড চলছে সারা উপজেলায়। জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরণে মরিয়া হয়ে উঠেছে আগুয়াই মৌরাপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি। নীতিমালা উপেক্ষা করে মাছ আহরণ করা হলেও উপজেলা মৎস্য অফিসারের কোনো টনক নড়েনি। মৎস্য অফিসারের দাবী এইগুলো ভূমি অফিস তদারকি করে। তবে জলমহাল শুকানোর বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি জানান। স্থানীয়রা জানান ভান্ডারবিল জলমহালটি সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সুবল চন্দ্র দাস জানান, এই জলমহালটি গ্রামের মানুষকে দেয়া হয়েছে। তবে জলমহাল শুকানোর বিষয়ে তিনি কিছু জানেননি। বিল শুকিয়ে মাছ ধরার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানোর দাবি জানান স্থানীয় এক কৃষক। জানা গেছে, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহায়তায় সম্প্রতি ইজারাদারের লোকজন অভিনব এক কৌশল বের করেছে। তারা কিছু লোক ভাড়া করে তাদের কৃষক সাজিয়ে জমিতে সেচ দেওয়ার নাটকের আয়োজন করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছে। তবে ইজারার নীতিমালায় জলমহালের পানি শুকিয়ে মাছ ধরার নিয়ম নেই বরং জলমহাল খনন এবং পারে বৃক্ষ রোপণ করার শর্ত আছে। কিন্তু ওই সব শর্ত কেউ মানে না। সরেজমিনে ভান্ডারবিল হাওরে গেলে দেখা যায় ছোট শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে ভান্ডার বিলের একটি অংশের পানি শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে। আর এই অংশটুকু শুকিয়ে ফেলা হলে আশপাশের জমিগুলোর ফসল থাকবে হুমকির মুখে।

    আরও খবর

    Sponsered content