• মানববন্ধন

    দিরাইয়ে জামায়াত নেতা মোঃ আব্দুর রহিম মাষ্টারকে গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন

      প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি ২০২০ , ১০:৩৬:৪৮ অনলাইন সংস্করণ

    সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের দৌলতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামায়াত নেতা মোঃ আব্দুর রহিম মাষ্টার কর্তৃক নিরীহ নারী পূরুষদের উপর হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
    শুক্রবার দুপুর ১টায় ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে স্থানীয় শ্যামারচর বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ নুরুল ইসলাম,মোঃ আব্দুল জলিল,মোঃ জুয়েল মিয়া,শাহিন উদ্দিন ও ফোরকান মিয়া,আফই মিয়া,আকলিমা বেগম,স্বপ্না বেগম,সালমা বেগম,আফিয়া বেগম,স্কুল ছাত্রী সুহেদা আক্তার,কলেজ ছাত্রী তনিমা বেগম,সম্পদ আলী,আজহার আলী মাষ্টার,নুরুল ইসলাম মৌলভী আজিজুল ইসলাম,জলিল আহমেদ মাষ্টার,মুক্তার আলী,তোরাব আলী,সিরাজ মিয়া,রশিদ মিয়া,অরুন দাস,আহমদ আলী,মসজিদের ইমাম আফজাল হোসেন প্রমুখ।
    বক্তারা বলেন,জামায়াত শিবিরের এই সক্রিয় নেতা দৌলতপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম মাষ্টারের সাথে একই দৌলতপুর) গ্রামের মোঃ নুর মিয়ার বসতভিঠা ও বোরো জমিন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধ নিয়ে ট্রাইব্যুন্যালে মামলা চলমান ও রয়েছে।এই পূর্ববিরোধের জেরে গত ১৯ জানায়ারী সকালে এই কুখ্যাত জামায়াতের শিক্ষক আব্দুর রহিম মাষ্টার ও তার স্বজনরা দাড়াঁলো অস্ত্র দিয়ে দৌলতপুর গ্রামের স্কুলের পাশে প্রতিপক্ষ কুপিয়ে ও পিঠিয়ে নারীপূরুষসহ ১০জনেক রক্তাক্ত জখম করেন। এ ঘটনায় আহতরা হলেন,মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন(৬০)। তিনি উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল জলিলের স্ত্রী,মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী স্বপঁœা বেগম(৩৫),মোহাম্মদ আলীর মেয়ে হুমায়রা আক্তার(১৭),মৃত জুমন আলীর ছেলে মোঃ নুর মিয়া(৬৫), তার ছেলে মোঃ হাসান আলী(২৬),ছেলের বউ মোঃ জুয়েল মিয়ার স্ত্রী ফারহানা আক্তার প্রমুখ। আহতদের মধ্যে মোঃ নুর মিয়া,তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম(৫৫),তার ছেলের বউ ফারহানা আক্তার ও ছেলে মোঃ হাসান আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারী আহতদের স্বজন মোঃ আব্দুল জলিল বাদি হয়ে হামলাকারী সহকারী শিক্ষক ও জামায়াত নেতা ও দৌলতপুর গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে মোঃ আব্দুর রহিম মাষ্টারকে প্রধান করে তার স্বজন আরো ১০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনকে আসামী করে দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাকি আসামীরা হলেন রাজাকার শিক্ষক আব্দুর রহিম মাষ্টারের স্ত্রী জোসনা বেগম,তার সহোদর আব্দুল করিম,তার স্ত্রী রহিমা বেগম,সহোদর জসিম উদ্দিন,জহিরুল ইসলাম,আব্দল রহিমের ছেলে নাইম,নাহিদ,আব্দুর করিমের ছেলে নাসির,ওয়াছির, বশির,জহিরুলের স্ত্রী বৃষ্টি বেগম।
    মামলার অভিযোগসূত্রে জানা যায়, আব্দুর রহিম মাষ্টার দীর্ঘদিন ধরে বাদি পক্ষের স্বজনদের সাথে গ্রামের বসতভিটা ও হাওরে রোরো জমি নিয়ে একাধিকবার হামলার ঘটনা ও ঘটিয়েছেন। এ নিয়ে আদালতে মামলা ও চলমান রয়েছে। এই শিক্ষক জামায়াতের একজন সক্রিয় নেতা হিসেবে ২০১৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীদের নিয়ে দিরাই উপজেলা সদরে সরকারের বিরুদ্ধে গোপন বৈঠক চলাকালীন সময় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে র্দীঘ দেড়মাস জেল কেটে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো সে প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে পূনরায় নারীপূরুষসহ ১০জনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অবিলম্বে এই কুখ্যাত জামায়াত শিক্ষক আব্দুর রহিমকে দ্রæত গ্রেফতারের জন্য স্বরাষ্ট্রমস্ত্রী ও পুলিশ সুপারের নিকট জোর দাবী জানান।

    আরও খবর

    Sponsered content