প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২০ , ৬:৫২:৫১ অনলাইন সংস্করণ
ছবিঃ গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা হযরত আলী।
স্টাফ রিপোর্টারঃ- সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাওঁ ইউনিয়নের উপ্তিরপাড় গ্রামের জামায়াতের ক্যাডার মোঃ আলী আহমদ ও ফারুক আহমদ গংদের সাথে গজারিয়া প্রকাশ মনুকাটা জলমহাল নিয়ে একই গ্রামের যুবলীগ নেতা হযরত আলী ও মোঃ আমির আলী গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
এর জেরে গত ২৩ জানুয়ারি সকাল বেলা পরিকল্পিত ভাবে হযরত আলী’র বসত বাড়ি ঘেরাও করে দেশীয় অস্ত্রসজ্জিত হয়ে আক্রমণ করে জামায়াতের ক্যাডার মোঃ আলী আহমদ ও তার বাহিনী।
এতে গুরুতর আহত হন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ নেতা হযরত আলী’ জামিল হক, নাজিম, মুস্তাকিম, তমিজ, আমির আলী, তামিম, নিজাম উদ্দিন, ছায়েদ আলী সহ ১৩। তাদের হামলা থেকে বাদ যায়নি হযরত আলী’র মেয়ে স্কুল ছাত্রী ছোটো শিশু নুসরাতও! হামলা পরবর্তীতে আহতরা চিকিৎসাধীন থাকার সুযোগে বাড়ির মহিলা ও শিশুদের অবরুদ্ধ করে রাখা ও হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে।
একতরফা আক্রমণকারী জামাত ক্যাডার আলী আহমদ তার তান্ডবকে আড়াল করতে ও হযরত আলীকে ফাঁসাতে তার সকল কাজের বিশ্বস্ত সঙ্গী উসমান আলীর মাধ্যমে তার নিজ ভাই কদর আলী ও তার স্ত্রী ও মেয়েকে এবং নিজ স্ত্রী লতিফা সহ তার পিতা মমশর আলীকে দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে উল্টো যুবলীগ নেতা হযরত আলী’কে হয়রানি করতে! সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বেডে বুকে ও পায়ে মারাত্মক জখম নিয়ে এমনটাই জানালেন দৈনিক ভাটি বাংলা ডটকম এর জেষ্ঠ প্রতিবেদক’কে।
এলাকায় জনপ্রিয় ও ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত উপজেলা যুবলীগ নেতা হযরত আলী’ বলেন- গত ২২জানুয়ারি টানাখালী বাজারে মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে উপতিরপাড় গ্রামের দক্ষিণে প্রতিপক্ষ আলী আহমদের লোক তাজুদ মিয়া ও ধলাই মিয়ার বাড়ির সামনে মোটরসাইকেল আটকিয়ে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে আঘাত করার চেষ্টা করে, পরে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ’র সহায়তায় বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি।
পরদিন ২৩ জানুয়ারি সকালে হঠাৎ করে জামাত ক্যাডার আলী আহমদ তার দলবল নিয়ে বাড়ি ঘেরাও করে ঝাপিয়ে পড়ে হযরত আলী ও তার পরিবারের লোকজনের উপর।
হযরত আলী কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ঠিক বুক বরাবর প্রাণঘাতী লোহার দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে এতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে, হযরত আলী’র মৃত্যু নিশ্চিত করতে মুখে, মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করতে থাকে জামাত ক্যাডার আলী আহমদ বাহিনী।
এছাড়াও তাদের অস্ত্রের আঘাতে হযরত আলী’র বাম পা মারাত্মক জখম হয়েছে। তিনি বলেন শীতের মোটা কাপড় গায়ে না থাকলে যেভাবে বুকে আঘাত করা হয়েছে এখন হয়তো আর কথা বলার জন্য জীবিত থাকতাম না।
বিরোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন “গজারিয়া প্রকাশিত মনুকাটা বিল” ৩বছর মেয়াদি লিজ নিয়ে যথারীতি খাজনা দিয়ে ভোগদখল করে আসছেন হজরত আলী কিন্তু প্রতিপক্ষ মৃত আরব আলী’র ছেলে জামাত ক্যাডার আলী আহমদ গং অবৈধ ভাবে হজরত আলী’র বিল দখল করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। এই ঘটনায় ডুংরিয়া গ্রামের বিশিষ্ট সালিসি ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বিল ফিশিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হযরত আলী।
এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন গ্রামের পঞ্চায়েতি গো চারণ ভূমিতে গরু চড়াতে হযরত আলী কে নিষেধ করে। এভাবেই আলী আহমদ বাহিনী’র ক্রমাগত মারমুখী আচরণে দিশেহারা মুজিব আদর্শের সৈনিক হযরত আলী! তিনি আক্ষেপ করে বলেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় অথচ আমরা এখনো রাজাকার আলবদর এর প্রেতাত্মা জামাতীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি এর চেয়ে আর লজ্জার কি হতে পারে বলে প্রশ্ন জুড়ে দেন তিনি❓এব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে ঘটনার দিন উভয় গ্রুপের ১০ কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে, বাকি এজহারভূক্ত আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।