প্রতিনিধি ২৯ জানুয়ারি ২০২০ , ১২:৫৯:১৩ অনলাইন সংস্করণ
মাহামুদ আহসান হাবিব,ঠাকুরগাঁও।। ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় আ’লীগ ঘোষিত দলে অনুপ্রবেশকারির তলিকায় নামও রয়েছে তার। অথচ তিনিই এখন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে মনোনিত হলেন। আর এ ঘটনা ঘটেছে আওয়মী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন এমপি’র এলাকায়।
তিনি নিজেই ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন ৬টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি-সা: সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে তা অনুমোদনের জন্য থানা কমিটির বরাবর পেশ করেন এবং থানা কমিটি কোনরূপ যাচাই-বাছাই না করেই তা অনুমোদন দিয়ে দেন।
মঙ্গলবার রাতে জেলা আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক এ্যাড. নাসিরুল এর ফেসবুক আইডিতে জেলা আ’লীগের প্যাডে এমপি রমেশ চন্দ্র সেন স্বাক্ষরিত ৬টি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি-সা: সম্পাদকের নাম ঘোষণা করে একটি পোস্ট দিলে নিমিষেই তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। সমালোচনা শুরু হয় জেলা জুড়ে। আখানগর ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও একই ইউনিয়নের বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আ’লীগ থেকে প্রকাশিত দলের অনুপ্রবেশকারির তালিকায় নাম থাকা মো: রোমান বাদশা। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন মো: রখছেদুল হক চৌধুরী স্বপন। এর আগে গত ২৬ জানুয়ারী আখানগর ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও সেখানে সভাপতি- সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়নি বলে একটি সুত্র নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সামাউল বলেন, অনুপ্রবেশকারীরা যাতে নতুন করে আওয়ামীলীগে কোন কমিটিতে পদ-পদবী না পান এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনা সত্বেও দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিএনপি থেকে আসা অনুপ্রবেশকারি রোমান বাদশাকে সভাপতির দায়িত্ব দেয়া খুবই লজ্জা জনক এবং দলীয় নির্দেশনার পরিপন্থী। আর এতে বাদ পড়লো দলের দুঃসময়ের নেতা-কর্মীরা। উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১লা অক্টোবরের জাতীয়ত নির্বাচনে আখানগর ইউনিয়নের ভেলারহাট সেন্টারে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নারকীয় তান্ডব চালায় এ রোমান বাদশা।
রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বাবু বলেন,প্রতিটি ইউনিয়নেই দলের ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আখানগর ইউনিয়নের নির্বাচিত সভাপতি রোমান বাদশা এক সময় বিএনপি করলেও দল ক্ষমতায় থাকার দশ বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে শক্ত কোন অবস্থান তৈরী না
হওয়াসহ সার্বিক দিক বিবেচনা করে কাউন্সিলর ও সকল নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সভাপতি-সা: সম্পাদক নির্বাচিত না করে গোপন স্থান থেকে সভাপতি-
সা: সম্পাদকের নাম ঘোষণা আসছে কি না -এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গোপনে সভাপতি-সাঃ সম্পাদক নির্বাচিত করা হচ্ছে কথাটি ভূল।
আসলে সম্মেলন চলাকালীন কাউন্সিলররাই অত্র এলাকার আ’লীগের অভিভাবক রমেশ
চন্দ্র সেনকে সভাপতি-সা: সম্পাদক নির্বাচনের দায়িত্ব এবং উনি যা সিদ্ধান্ত দেবেন তা মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে জেলা-উপজেলা ও থানা আ’লীগ নেতৃবৃন্দের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইউনিয়ন কমিটিগুলো ঘোষণা করা হচ্ছে।