প্রতিনিধি ২০ জানুয়ারি ২০২০ , ১:৩৫:০১ অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও থেকে মাহমুদ আহসান হাবিব।।উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে পৌষের শুরু থেকেই জেঁকে বসেছে শীত। ঘনকুঁয়াশা আর হিমেল বাসাতাসে জনজীবনে স্তবিরতা নেমে আসার পাশাপাশি এর প্রভাব পরেছে কৃষকের আবাদি ফসলেও।
আলু, বেগুন, শিমসহ অন্যান্য শাকসবজিতে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগের প্রাদূর্ভাব। শৈত প্রবাহের কবলে পরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির
মুখে পরেছে কৃষকের আবাদকৃত বিস্তির্ণ আলু ক্ষেত।
টানা শৈত প্রবাহে ঠাকুরগাঁওয়ে আবাদকৃত আলু ও অন্যান্য সবজি ক্ষেতেও আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে । এ অবস্থায় জেলার কৃষকরা নিয়মিত
ফসলের পরিচর্যা করেও কাঙ্খিত উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন।
অন্যদিকে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে সার কীটনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ফসল রক্ষার চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
জেলার আলু চাষীদের তথ্যমতে জানাযায়, আলু গাছে লেটবøাইট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় অল্প সময়ে মরে যাচ্ছে সেগুলো। ফসল বাঁচাতে নিয়মিত পরিচর্যা আর অতিরিক্ত অর্থ ব্যয়ে সার-কীটনাষক ও কুয়াশা নাশক ওষুধ ব্যবহার করে উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা। যেখানে এক বিঘা আলু আবাদে কৃষকের খরচ হতো ৩০-৩৫ হাজার টাকা। এখন সেখানে গুনতে হচ্ছে ৪৫-৫০ হাজার টাকারও বেশি। ফলে খরচ বাড়লেও কাঙ্খিত উৎপাদন ও লোকসানের শংকায় রয়েছে তারা।
চলতি মৌসুমে জেলায় ২৬ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
এ থেকে ৫ লাখ ৪০ হাজার ৪শ মেঃ টন আলু উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে কৃষি বিভাগ। আর বেগুন, শিম টমেটোসহ অন্যান্য শাকসবজি আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৮শ ৮৫ হেক্টর জমিতে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক কৃষিবীদ আফতাব হোসেন জানান, শীতের প্রকোপ বাড়ায় কৃষক অনেকটাই
সচেতন হয়ে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে প্রতিরোধ মূলক ছত্রাকনাশক কীটনাশক ব্যবহার করছেন। তবে আবহাওয়া ভাল হলে
লেটবøাইট রোগ থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে।