প্রতিনিধি ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১২:১৪:০১ অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০ ও ২১ ডিসেম্বর কে সামনে রেখে সিলেট বিভাগের দায়িত্বে কে আসছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সম্মেলনে ? এ নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। তবে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, বয়োজৈষ্ট্য, সাবেক সফল এমপি আলহা্জ্ব মতিউর রহমানের নাম আলোচনার শীর্ষে। দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আলহাজ্ব মতিউর রহমানকে সিলেট বিভাগের সবক’টি জেলার সম্মেলন কনভেনারের দায়িত্ব দেয়ায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগে সুনামগঞ্জ তথা সিলেট বিভাগের নেতৃত্ব শূণ্য দীর্ঘ দিন ধরেই। আগামী সম্মেলনে দলের নিবেদিত প্রাণ, জাতির জনকের সহচর, জেলা আওয়ামীলীগের বটবৃক্ষ আলহাজ্ব মতিউর রহমান ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অত্যন্ত দক্ষতা ও স্বচ্ছতার দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পিপি এড. শফিকুল ইসলাম জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব মতিউর রহমানের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ যে কোন সময়ের চেয়ে রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অতীতে দলে গ্রুপিং কোন্দল ছিল। বর্তমানে জেলার কোথাও দলীয় কোন্দল কিংবা গ্রুপিং নাই। তার দুরদশর্ী রাজনীতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আমরা জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদকে জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখতে চাই।
সুনামগঞ্জের কৃতি সন্তান সাবেক সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জননেতা মরহুম আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ ও সাবেক মন্ত্রী বর্ষিয়ান পার্লামেন্টারিয়ান এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বগর্ীয় বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মারা যাওয়ার পর জাতীয় রাজনীতিতে সুনামগঞ্জ জেলা তথা সিলেট বিভাগে প্রতিনিধিত্ব শূন্য হয়ে আছে। অভিভাবক হীন হয়ে আছে আওয়ামী রাজনীতি।
জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি সেলিম আহমদ জানান, আলহাজ্ব মতিউর রহমানের নেতৃত্বে দলীয় রাজনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী অবস্থানে। দলের ভিতরে কিংবা বাহিরে কোন ধরনের গ্রুপিং কোন্দল নেই। রাত ৩টায় কোন কমর্ী বিপদে পড়ে ফোন দিলে তার সমস্যার কথা শুনেন এবং সমাধানের চেস্টা করেন। আগামী সম্মেলনে দলের গুরুত্বপূর্ন পদে দেখতে চাই।
জাতীয় যুব শ্রমিকলীগের সভাপতি মোঃ মাহতাব উদ্দিন তালুকদার জানান, সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগ দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে অভিভাবকহীন অবস্থায় আছে। আগামী সম্মেলনে আলহাজ্ব মতিউর রহমানকে দলের গুরুত্বপুর্ণ পদে দেখতে চাই। তিনি এমপি থাকাবস্থায় পিছিয়ে পড়া জনপথ বিশ্বম্ভরপুর ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে কৃষক ও সাধারন মানুষের কল্যানে গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য মিছাখালী রাবার ড্যাম্প, ভাদেরটেক রাবার ড্যাম্প, সুরমা নদীর উপর স্বপ্নের আব্দুজ জহুর সেতুসহ অসংখ্য উন্নয়নের চিত্র। সুরমার উত্তরপাড়ের শিক্ষা বঞ্চিত মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে দিতে গড়ে তুলেছেন নিজ নামে আলহাজ্ব মতিউর রহমান কলেজ।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বেনজির আহমদ মানিক জানান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,সাবেক এমপি ও দরিদ্র মানুষের পরম বন্ধু আলহাজ্ব মতিউর রহমান জেলার রাজনীতিতে সফল ও দক্ষ রাজনীতিবিদ। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক হিসেবে দেখে আসছি। শেষ বষসে এই রাজনীতিবিদকে দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দেখতে চাই।
আলহাজ্ব মতিউর রহমান জানান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর জেলা শহরের সবচেয়ে কাছের বিশ্বম্ভরপুর ও সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সাথে জেলা সদরের যোগাযোগ স্থাপনে পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ লাখ মানুষের জন্য সুরমা নদীর উপর স্বপ্নের আব্দুজ জহুর সেতু নির্মানে জাতীয় সংসদে কঠোর অবস্থান গ্রহন করেছিলাম। নেত্রীকে উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষের কথা বলেছি। নেত্রী আমার কথা শুনে সেতু নির্মান করে দিয়েছেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া সুরমার উত্তর পাড়ের মানুষের জন্য নিজ অর্থায়নে কলেজ করে দিয়েছি। নতুন নতুন রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট নির্মান করেছি। দলের দুর্দিনে আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকমর্ীকে আগলে রেখেছি। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে পৌছেছি। রাজনীতিতে চাওয়া পাওয়ার হিসাব করছি না। নেত্রী আমাকে সিলেট বিভাগের আওয়ামীলীগের কনভেনারের দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি নিরপেক্ষভাবে চেষ্টা করেছি, তৃনমুলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা দলের দায়িত্বে আসুক। আগামী সম্মেলনে দলীয় প্রধান আমাকে যে দায়িত্ব দিবেন তা সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করবো।