প্রতিনিধি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৩:৫৬:২৭ অনলাইন সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ সিলেটের প্রভাবশালী এক আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রবাসী ও সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর বাসার কিয়দাংশ ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় ও সুপ্রিম কোর্টের সক্রিয় সংগঠক এডভোকেট আব্দুল মোনেম চৌধুরী ও তাহার যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাস্ট্র প্রবাসী ভাই বোন সহ তাদের নামে খরিদাকৃত ভোগদখলীয় জায়গা ভূমিখেকু সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় সিলেটের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার আশির্বাদপুষ্ট কিছু দুষ্কৃতকারী ভূমি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ জোরপূর্বক কিয়দাংশ ভূমি দখল করে নিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ০৮ নং ওয়ার্ডের জালালাবাদ থানাধীন আখালিয়া এলাকার হাওলদার পাড়া চা বাগান রোডে ব্রাম্মনশাসন মৌজার -৯৯ ও ১০০ দাগের ক্রয়কৃত ২৫.৭৫ শতাংশ জায়গায় কাঁচা-পাকা কয়েকটি ঘর তৈরি করে দীর্ঘদিন থেকে ভাড়াটে ও কেয়ারটেকার দ্বারা ভোগদখল করে আসছেন।
গত বছরের ৭ ও ১০ জানুয়ারি পৃথক সময়ে- সিলেটের এক প্রভাবশালী নেতার অনুসারী নেতাকর্মীরা বাসার মালিকের কাছে চাঁদা দাবির উদ্দেশ্যে যোগাযোগ করতে ব্যার্থ হয়ে ৭ জানুয়ারি বাসার ভাড়াটিয়াদের ৫ লক্ষ টাকা মালিকের কাছ থেকে নিয়ে তাদেরকে দিতে হুমকি প্রদান করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে বাসা থেকে ৩দিন পর উচ্ছেদ করে দেওয়ার সময়সীমা বেধে দেয়। তিনদিন পর দাবীকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে ১০ জানুয়ারি ভাড়াটিয়াদের মারপিঠ করে মালামাল ছিনতাই করে নিয়ে যায় ভূমি সন্ত্রাসীরা।
ঘটনার পর এডভোকেট আব্দুল মোনেম চৌধুরীর ছোট ভাই রেদুয়ান মাহমুদ চৌধুরূ বাদী হয়ে গত বছরের ১৫ জানুয়ারি সিলেটের জালালাবাদ থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
মামলায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তিনগাঁও মৃত আলীবর্দী’র ছেলে ইউসুফ আলী, ইউসুফ আলীর পুত্র আইয়ূব আলী, তৈয়ব আলী ও লালা, নগরের জালালাবাদ থানাধীন হাওলদারপাড়ার মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে আঙ্গুর মিয়া, একই এলাকার কুদরত আলী ওরফে ডাইল এর ছেলে আতিকুর রহমান শাহীন, মকন মিয়ার ছেলে আবদুর রহিম, বাহার আলীর ছেলে আক্তার হোসেন, আনোয়ার আলীর ছেলে রাজেল ও একই এলাকার দুসকীর মকন মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া ওরফে কাঠ মিস্ত্রী ফারুক আসামী করেন। জালালবাদ থানার মামলা মামলা নং- ১০/১০,জি আর মামলা নং ১০/২০১৮ অনিস্পন্ন আছে।
চাঁদাবাজির মামলা দায়েরের পর আসামীরা জামিনে গিয়ে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে।
আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী নেতার ছত্রছায়ায় ভূমিদস্যু ও সংঘবদ্ধ চাঁদাবাজ চক্র সম্প্রতি সময়ে জোরপূর্বক কিয়দাংশ ভূমি দখল করে নেয়।
মামলার প্রেক্ষিতে আদালত তদন্তের নির্দেশ প্রদান করলে সন্ত্রাসীদের মদদ দাতা সিলেটের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার প্রভাবে ও দিকনির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রতিবেদন দাখিল করেন বলে মামলার বাদী রেদওয়ান মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেন।
মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য আবেদন করলে আদালত পুলিশ ব্যুারো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআইও রাজনৈতিক নেতার প্রভাবে প্রায় একই ধরনের সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে।
আইনের সম্পূর্ণ বিধিবিধান মেনে রেজিস্ট্রারী মূলে দলিল সম্পাদন করে ভূমি ক্রয় করে কাঁচা ও পাকা কয়েক টি ঘর তৈরী করে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখলে থাকা জমিতে প্রথমে চাঁদাদাবী ও পরবর্তীতে কিয়দাংশ ভূমি দখলে দিশেহারা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দ্বয় ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সংগঠক এডভোকেট আব্দুল মোনেম চৌধুরীর পরিবার।
মামলার বাদী দৈনিক ভাটি বাংলা ডটকম কে জানান মামলা পুনঃ তদন্তের আবেদন করেছেন তিনি। তাঁর প্রেক্ষিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর তদন্ত বর্তমানে চলমান রয়েছে।
রেদুয়ান মাহমুদ চৌধুরী বলেন আমরা আশাবাদী এবার প্রশাসন ও আদালতে আমরা ন্যায় বিচার পাবো। আমাদের কষ্টার্জিত টাকায় বৈধভাবে ক্রয় করা ভূমি, চাঁদাবাজ ও ভূমিখেকু সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে ফেরত পাব। এব্যাপারে জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।