প্রতিনিধি ১ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৯:২০:২৬ অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিনিধি- সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আব্দুন নূরের বিরুদ্ধে আবারো ৩জন ভূক্তভোগী নারী-পুরুষ অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রবিবার (১ডিসেম্বর) উপজেলার দামপুর গ্রামের মৃত ছুরাব উল্যাহ ছেলে মোঃ চান মিয়া একটি এবং চব্বিশা গ্রামের আব্দুল কাদিরের স্ত্রী মোছাঃ খাইরুন নেছা ও মৃত সুলেমান মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ জয়নব বিবি যৌথ টিপ/স্বাক্ষরিত একটিসহ মোট দু’টি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল করেন।
মোছাঃ খাইরুন নেছা তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২০১৭ সালে অকাল বন্যায় ফসলহানী হলে প্রধানমন্ত্রী শাল্লা সফর করেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সমূহে বিশেষ ভিজিএফ প্রদান করেন। মেম্বার আব্দুন নূর খাইরুন নেছাকে বিশেষ ভিজিএফ পাইয়ে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে ১হাজার টাকা উৎকোচ নেয়। কিন্তু মেম্বার তাকে কোনো ভিজিএফ সুবিধা দেয় নাই এবং টাকাও ফেরৎ দেয় নাই। অপরদিকে একই অভিযোগে মোছাঃ জয়নব বিবি উল্লেখ করেন, বিধবা ভাতা দেবার কথা বলে মেম্বার তার নিকট থেকে ২হাজার টাকা উৎকোচ নেয়। তাকেও বিধবা ভাতা করে দেয়নি এবং টাকাও ফেরৎ দেয়নি।
অপর অভিযোগে দামপুর গ্রামের মোঃ চান মিয়া উল্লেখ করেন, গত দু’বছর আগে বয়স্ক ভাতা কার্ড দেবার নাম করে মেম্বার আব্দুন নূর ২হাজার টাকা উৎকোচ নেয়। কিন্তু মেম্বার তাকেও কোনো কার্ড করে দেয়নি। উপরন্ত মেম্বারকে টাকার জন্য তাগাদা দিলে মেম্বার উল্টো তাকে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়।
এব্যাপারে মেম্বার মোঃ আব্দুন নূর মিয়া’র সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। আমি কারো কাছ থেকে টাকা-পয়সা নেইনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা আসলে সত্য নয়।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
উল্লেখ্য, গত ২৭নভেম্বর ওই মেম্বারের বিরুদ্ধে একই গ্রামের শারীরিক প্রতিবন্ধি ব্যক্তি মোঃ মিজাজ আলী উৎকোচের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের ৫দিন পেরিয়ে গেলেও কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।