প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০১৯ , ২:০৪:৪৮ অনলাইন সংস্করণ
ঠাকুরগাঁ থেকে মাহমুদ আহসান হাবিবঃ
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার ১ নং রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিবিষ্টপুর গ্রামের রফিজ উদ্দীন তার ভাতিজা শামসুল আলম, মতিউর রহমান ও মহসীন আলীর ৪৯ শতাংশ জমি খতিয়ান নং ৭১, দাগ নং ১৩৭৭, জে-এল নং ৩- ১৯৯৫সাল হতে জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। ঐ সময় তৎকালীন রুহিয়া ইউ,পি চেয়ারম্যান তৈমূর রহমান সাহেব প্রায় ১৫/২০ বার সমাধানের চেষ্টা করেন। পরিশেষে সমাধান হলেও রফিজউদ্দীন তা মানেননি। পরবর্তীতে ইউ,পি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সাহেব বিষয়টি হাতে নেন, কিন্তু দুঃক্ষের বিষয় যে, তিনিও তাঁর প্রায় ৯ বছর চেয়ারম্যান থাকা কালীন সময়ে ২০/২৫বার শালিশ করে দিলেও মানেননি রফিজউদ্দীন। উল্টো তিনি (রফিজউদ্দীন) শামসুল গংদের উপর মিথ্যা মামলা ১। মামলা নং এমপি-৪৮৩/০৮, ২। মামলা নং ৮৭/১০, ৩। মামলা নং ৩৭/১০ (ভাইলেশন), ৪। মামলা নং সি,আর- ৪৮৩/১০, ৫। মামলা নং এম,আর-৬৬/১১,৬। মামলা নং ৩১১/০৮, ৭। মামলা নং এম,পি-২৫৫/২০১৮ এভাবে একটির পর একটি করে মোট ১০টি মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করান। পরবর্তীতে ঐ ১০ টি মামলা রায়,কোনটি ৮ বছর, কোনটি ৭ বছর, আবার কোনটি ১১ বছর চলার পর শামসুল গংদের অনুকুলে যায়। এদিকে বর্তমান ইউ,পি চেয়ারস্যান মনিরুল হক বাবুর প্রায় ৯ বছর চলমান সময়ে তিনিও (মনিরুল হক বাবু চেয়ারম্যান) ১৫/২০ বার শালিশ করেছেন কিন্তু রফিজ উদ্দীন তার বিচারও মানতে নারাজ।-এরই মধ্যে ৮৭/১০ নং মামলাটি নিশ্চিত পরাজিত হবে ভেবে গত ইং ০৪/০৪/১৮ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত হতে মামলাটি প্রত্যাহার করে নেন। মামলায় উল্লেখ করেন যে তিনি জমি ভাগ বাটোয়ারা করে দেবেন। কিন্তু এখন শামসুল গংরা কোন জমি পাবেনা বলে টালবাহানা শুরু করলে শামসুল গংরা তাদের জমিতে ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। এরপর স্থানীয় থানা পুলিশ, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ সহ আবারও শালিসের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিক বার বসার ব্যাবস্থা করলেও বসতে কালক্ষেপন করতে থাকেন রফিজউদ্দীন। এরপর ২৪/১০/১৮ ইং তারিখে উপরে উল্লেখিত ২৫৫/১৮ নং মামলাটি খারিজ হওয়ার পর হঠাৎ দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অপ্রত্যাসিত ভাবে রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় মোবাইলে শামসুলদের কে হুমকী ধামকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এমন কি শামসুল গংদের প্রান নাশেরও হুমকী দিয়ে বলেন যে, ঘর থেকে মহিলা দেরকে বের করে ঘর ভেঙ্গে নিয়ে যাও তা না করলে ঠাকুরগাঁও থেকে মহিলা পুলিশ এনে ঘরথেকে বেরকরে ক্রসফায়ারে দিব, তোরা জামাত/ বিএনপির লোক তোরা এখানে (বোমা) তৈরীকরিস, তোরা মাদকের ব্যাবসা করিস আরও অনেক কথা বলে। অথচ রফিজ উদ্দীনের ছেলেই মাদকের সাথে জড়িত সামপ্রতিক রফিজ উদ্দীনের এক ছেলে পঞ্চগড় জেল থেকে মাসাধিককাল জেল খেটে এসেছে যা আজও পঞ্চগড় আদালতে মামলাটি চলমান রয়েছে। এরপর যখন এই হুমকীও কাজ হলোনা তখন শামসুলের ছোট ছেলে সোনমিয়া কে বিকাল ৫টার দিকে মনিরুল হক বাবু চেয়ারম্যন ও হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে অমানষিক ভাবে বেধড়ক পিটাতে থাকে ওসি প্রদীপ কুমার রায় সহ অন্যন্য পুলিশ সদস্যরা। এর কিছুক্ষন পর সন্ধ্যা ৭টার সময় ১২/১৫ জন মহিলা পুলিশও আসে এমতাবস্থায় উপস্থিত জনতা দেখে না থাকতে পেরে জনতার তোপের মুখে পড়ে পুলিশ একটু শান্ত হয়। এদিকে খবর পেয়ে ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা মইনুল মেম্বার , রেজাউল মেম্বার, সারোয়ার মেম্বার, যুবলীগ নেতা দুলাল রবানী, নুর-ইসলাম (মাহিলা), শাহীন সহ আওয়ামী নেতৃবৃন্দ ও হাজার হাজার জনগনের হস্তক্ষেপে এই মর্মে উপনিত হয় যে দুইদিন পর এর চুড়ান্ত সমাধানের লক্ষে একটি লিখিত করা হয়। কিন্তু দুঃখ্যের বিষয় এই যে, আজ কাল করতে করতে সমাধানে বসেননি রফিজ উদ্দীন উপড়ন্ত শামসুল গংদের ঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় রফিজ উদ্দীন। এব্যপারে রুহিয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে রুহিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমুর রায় বলেন যে, ব্যাটা বিনা টাকায় আমি কি তোর ঘর ২৪ ঘন্টায় পাহাড়া দিয়ে রাখবো যেভাবে আছে সেভাবে থাক তোরা ওখানে যাবিনা গেলে খবর আছে তোমাদের। তার কয়েক দিন পরে ১ নং রুহিয়া ইউ ,পি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু সহ ২ নং আখানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রোমান বাদশা ও ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউ,পি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন সহ আবারও সমাধানের দিনক্ষন ঠিক করেন। অতঃপর সিদ্ধান্তে উনিত হয় যে, উপরে উল্লেখিত ১৩৭৭ নং দাগের ৪৯ শতাংশ জমির মধ্যে ৪২ শতাংশ জমি শামসুল গংদের অনুকুলে যায়। অপরদিকে রফিজউদ্দীনের জমির হিসেব মনপুত না হওয়ার অজুহাতে আরও একদিন বসার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তী সময়ান্তে বিভিন্ন ধরনরে হিসাব নিকাশের ওযুহাতে প্রায় ৬ মাস যাওয়ার পর হঠাৎ করে এক দিন সমাধানের লক্ষে বসে একটি মনগড়া রায় দেন। বিচারে রোমান বাদশা বলেন অন্য এক দিকে অত্র খতিয়ানের ১৭০৩ নং দাগে ২৫ শতাংশ জমি ও ৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেন। শামসুল গংদের উক্তি ছিল আমরা যেখানে জমি পাব সেখানে জমি নিব অন্য কোথাও জমি নেবনা। এ জমিতে আমাদের (শামসুল গংদের) ঘরবাড়ি রয়েছে আমরা এখানে বসবাস করি। এ জমি ছাড়ে আমরা কোথাও যাবনা বলে সাব জানিয়ে দেন শামসুল গংরা। এরপর কয়েক দিন পরে রুহিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় (ট্রেনিংয়ে) থাকায় (তদন্ত ওসি) বাবলু কুমার রায় বাড়িতে এসে জানান যে, রফিজউদ্দীন তার জমির কাগজ পত্র থানায় জমা দিয়েছেন, তোমাদেরও জমির কাগজ পত্র আজকের মধ্যে থানায় জমা দাও। কারন হিসেবে জানতে চাইলে (তদন্ত ওসি) বাবুল কুমার রায় জানান যে, সব কাগজ পত্র নিয়ে সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড: অরুনাংশু দত্ত টিটো স্যার তোমাদের সমাধানের জন্য ডেকেছেন। অতঃপর উভয়ের উপস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড: অরুনাংশু দত্ত টিটো স্যার, মুঠোফোনে একজন (উকিল এজিপি অতুল প্রসাদ রায়) কে ডেকে এনে ঘটনার বিবরন জানালে উভয়ের জমির কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে সির্দ্ধান্তে উপনীত হন যে, শামসুল গংদের উপরে উল্লেখিত ১৩৭৭ নং দাগের ৪৯ শতক জমি দেওয়ার পরও আরও ৩ শতাংশ জমি কম হচ্ছে। রফিজউদ্দীকে ১৩৭৭ নং দাগে কভিাবে জমি দেব ।