প্রতিনিধি ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৫:৪৭:৫৭ অনলাইন সংস্করণ
ইসলামি জীবন, ভাটি বাংলা ডেস্কঃ মহান আল্লাহ পৃথিবীর কাউকে না খাইয়ে রাখেন না। সবল-দুর্বল, শিক্ষিত-অশিক্ষিত, নারী-পুরুষ, বুদ্ধিমান-বোকা সবাইকে রিজিক দান করেন। এমনকি নির্জন দ্বীপের ক্ষুদ্রতম প্রাণী পীপিলিকা থেকে বৃহৎ হাতি,সমুদ্রের সামান্য মৎস্য থেকে সর্ববৃহৎ তিমি মাছের টনের খাদ্যের সরবরাহ করেন মহান আল্লাহ। আর সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের রিজিকের মালিক একমাত্র আল্লাহ।
আল্লাহ যদি কারো রিজিক বন্ধ করে দেন, তবে তা চালু করার শক্তি কারো নেই। আল্লাহ বলেন- এমন কে আছে যে তোমাদের রিজিক দান করবে, যদি তিনি রিজিক বন্ধ করে দেন? বস্তুত তারা অবাধ্যতা ও সত্য বিমুখতায় অবিচল রয়েছে। (সুরা মুলক, আয়াত-২১)।
পবিত্র কোরআনের সূরা সাবার ৩৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘বল, আমার প্রতিপালক তো তার বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা রিজিক বর্ধিত করেন এবং যার প্রতি ইচ্ছা সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার প্রতিদান দিবেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।’ সূরা সাবার উপরোক্ত আয়াতে যে বিষয়টির ওপর আলোকপাত করা হয়েছে সেটি হলো- আল্লাহ ইচ্ছা করলেই যে কোনো ব্যক্তির রিজিক বাড়িয়ে দিতে পারেন, তেমনি তিনি তা কমিয়ে দিতেও পারেন।
আল্লাহ যেহেতু মানুষকে সম্পদ দেন, সেহেতু মানুষ যদি আল্লাহর নির্দেশিত পথে সে সম্পদ ব্যয় করে তবে তিনি বান্দাকে তার বিনিময় দান করার ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ । পবিত্র কোরআনের সূরা আশ-শুরার ২৭ নম্বর আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘আল্লাহ তাঁর সব বান্দাকে জীবনোপকরণে প্রাচুর্য দিলে তারা পৃথিবীতে অবশ্যই বিপর্যয় সৃষ্টি করত, কিন্তু তিনি তার ইচ্ছামতো পরিমাণেই নাজিল করিয়া থাকেন। তিনি তাঁর বান্দাদের সম্যক জানেন ও দেখেন।