• মুক্ত কলাম

    মা মাটি জয় বাংলা

      প্রতিনিধি ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৬:১৭:১৪ অনলাইন সংস্করণ

    ইয়ামীন আজমান চৌধুরী

    লেখা যে কতোটা কস্টের, তারপরেও লিখতে হয়। বিষয়টি নিয়ে নাগরিক সংলাপ হওয়া উচিত ছিলো। সংসদে আলোচনা হতে পারতো। প্রচার মাধ্যমে নানা ভাবে বিষয়টি আলোচনায় আসা উচিত ছিলো।
    তা হয়নি হুট করে হাইকোর্টের রায়ে আনন্দের খবরটি পেলাম। আমার কাছে আনন্দের, অনেকের মাঝে দ্বিধা আছে।
    আমার কাছে আনন্দের কারন আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের সাথে জয় বালা স্লোগান কতটা গুরুত্ব বহন করে তা আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম। পাঁচ নং সেক্টরের সকল মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৯০ সালের দিকে টেকেরঘাটে একত্রিত হয়েছিলেন, আয়োজক ছিলেন সাব-সেক্টর কমান্ডার কর্নেল হেলাল চাচা। আমার বাবা সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা সালেহ চৌধুরী কেনো যেনো সেই সফরে আমাকেও সাথে এনেছিলেন। আমি তখন স্কুল বা কলেজে উঠেছি। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জ টেকেরঘাট ঘুরেছি সব মুক্তিযোদ্ধা চাচাদের সাথে। ইঞ্জিন চালিত নৌকাতে কোথায় যেনো যাচ্ছিলাম। আমি সবার ছোটো। খুব সাহসী একজন যোদ্ধা ছিলেন নামটি এখন মনে আসছে না। আমাকে যুদ্ধের গল্প শোনাচ্ছিলেন। জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কি যেনো প্রশ্ন করেছিলাম, তিনি যা বলেছিলেন তা হলো পাকিস্তানি সৈন্য এবং তাদের অস্ত্র অনেক ভয়ঙ্কর ছিলো। বিকট আওয়াজে জয় বাংলা বলে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমন শুরু করতো, জয় বাংলা স্লোগান মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস যোগাতো। এই অর্থে জয় বাংলা আমাদের স্বাধীনতায় অনেক গুরুত্ব বহন করে। আমি আজকে হাইকোর্টের এই রায়ে আনন্দিত।
    কিন্তু স্বাধীনতার পর যেহেতু দীর্ঘ সময় স্বাধীনতা বিরোধীরা ক্ষমতায় ছিলো এবং ইতিহাস বিকৃতি করেছি সবাই সমান তালে, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী ভিন্নমত পোষন করে তাই বিষয়টি আরো আলোচনায় নিয়ে এসে সিদ্ধান্তটি আসলে ভালো হতো।
    এখন মনে হচ্ছে চাপিয়ে দেয়া হলো। মুক্তিযুদ্ধের আবেগ জোর করে চাপিয়ে দেয়াটাও যেমন দরকার তেমনি লজ্জার।
    আজকের এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি আনন্দিত। দেশবাসী সকলের প্রতি এ সিদ্ধান্ত সাদরে শ্রদ্ধার সাথে গ্রহন করবার আহ্বান জানাই।

    জয় বাংলা
    লেখক :
    ইয়ামীন চৌধুরী
    সদস্য, সুনামগঞ্জ জেলা কমিটি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
    ০১৭৫৮৫৮৪৬৩২

    আরও খবর

    Sponsered content