• অনিয়ম / দুর্নীতি

    পুলিশ দেবপ্রসাদ দেশের তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার- ৫ দিনের রিমান্ডে

      প্রতিনিধি ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ , ৯:৩৫:০৩ অনলাইন সংস্করণ

    ভাটি বাংলা ডেস্কঃ
    দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতে পাচারের অভিযোগে যশোরে আটক পুলিশ কনস্টেবল দেবপ্রসাদ সাহাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে এই রায় দেওয়া হয়।

    পুলিশ কনস্টেবল দেবপ্রসাদ সাহাকে ঢাকা থেকে আটকের পর যশোর আদালতে তোলে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

    পুলিশ জানায়, দেব প্রসাদ সাহার বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলায়। তিনি ঢাকার উত্তরা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। এর আগে গেল বছরের ১৭ আগষ্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন বিভাগে ছিলেন তিনি। ওইসময় ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন বলে অভিযোগ পায় পুলিশ।

    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত।  তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল অভিবাসন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।  সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন।  বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ বাহিনীর দুই সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়।  ওই দুই জন মাঝেমধ্যেই বেনাপোলে গিয়ে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুই পুলিশের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

    ২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। এর ১৫ দিন পর তিনি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন।  গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে  শাহানেওয়াজ শাহিন নামে এক সৈনিক আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্বলিত একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। তিনি বাংলাদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভারতের পাচার করেছেন। এঘটনায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারস তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে মোবাইল ফোনের কল লিস্ট পরিক্ষা করা হয়। সেখানে ভারতের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরেফের সঙ্গে তার কথোপকথনের প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং ওই ওডিও সিডির মাধ্যমেই  বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে।

    সূত্রঃ- একাত্তর টাইম

    আরও খবর

    Sponsered content