প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১:০০:৪৫ অনলাইন সংস্করণ
আবুল হাসনাত (সিলেট) কানাইঘাট থেকেঃ
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে কানাইঘাটের প্রায় সাড়ে ৪’শ মুক্তিযোদ্ধা অংশ নিয়েছিল। পাক হানাদারদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে প্রায় দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এর মধ্যে পাক বাহিনীর হাতে গণহত্যায় শহীদ হওয়া কানাইঘাটে মালিগ্রামের ২২ জন গ্রামবাসীর পরিবার পরিজনরা আজও রয়েছেন সরকারের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গণহত্যায় শহীদ হওয়া এসব পরিবারে বিরাজ করছে মারাত্মক অভাব অনটন। এসব পরিবারের পক্ষথেকে দাবী উঠেছে তাদেরকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্র্Íভুক্ত করে ভাতা প্রদানের।
মুক্তিযোদ্ধা কাযার্লয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধে কানাইঘাটের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলো ১৯৭১ সালের ভাদ্র মাসের ১৫ তারিখ। তখন কানাইঘাটের সর্বত্র ঢুকে পড়েছে পাকিস্থানী হায়েনারা। পাক বাহিনীর ক্যাপ্টিন বশারতের নেতৃত্বে একটি হানাদার বাহিনী অবস্থান নেয় কানাইঘাট ডাক বাংলোয়। এখান থেকে ক্যাপ্টিন বশারত মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন করার নানা কৌশল অবলম্বন করে। অপরদিকে কানাইঘাটের মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদারদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে তাদের বিভিন্ন কৌশলের অংশ হিসাবে ভেঙ্গে ফেলে দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কের উপর নির্মিত বিষ্ণুপুর ব্রীজ এবং ঐদিন আক্রমন চালিয়ে হত্যাকরে স্থানীয় ৩ জন আলবদর রাজাকারকে। এতে ক্যাপ্টিন বশারত মালিগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে (১৯৭১ সালের ৩১শে আগষ্ট) সেই ৩ রাজাকারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ছুটে যায় উপজেলার ৫নং বড়চতুল ইউপির মালিগ্রামে। সেখান থেকে ২৪ জন গ্রামবাসীকে ধরে এনে বিষ্ণুপুর খালের পারে তাদেরকে দিয়ে গণকবর খনন করিয়ে জীবন্ত ১৯ জনকে মাটি চাপা দেয় বিষ্ণুপুর খালের পারে।
এছাড়া বাকী ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে মাটি চাপা দেয় একটু অদুরেই। পরে ক্যাপ্টিন বশারতের নেতৃত্বে পাকিস্থানী হায়নারা মালিগ্রামে গিয়ে আরো ৭৪টি বসতঘর পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া ঐ গ্রামের নিরীহ জনসাধারণের উপর চালায় পাশবিক নিযার্তন। ১৯৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পাক বাহিনীর জল্লাদ ক্যাপ্টিন বশারতের হাতে কানাইঘাটের মালিগ্রামের শাহাদাৎ বরণকারীরা হলেন- ৫নং বড়চতুল ইউপির মালিগ্রামের বতু মিয়া, চান্দ আলী, খলিলুর রহমান, আব্দুল ওহাব, আব্দুল কাদির, আব্দুল মুতলিব, জহির আলী, তবারক আলী, ইসরাক আলী, মোবারক আলী, তুতা মিয়া, শওকত আলী, আব্দুল খালিক, আব্দুর রশিদ, শামছুল হক, খুরশেদ আলী, ছিফত উল্লাহ, ওয়াজি উল্লাহ, কনু মিয়া, খুরবান আলী, আরব আলী, ইউসুফ আলী।
এদিকে কানাইঘাাটের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজমুল হক ও নুরুল হক জানান, ১৯৭১ সালে পাকবাহীনি এদেরকে বাড়ী থেকে ধরে এনে গণকবর দিয়েছিল। তাই তারা মুক্তিযোদ্ধার আওতায় পড়েনা। তারা বলেন ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু উক্ত গণকবরে গণহত্যায় শাহাদাৎ বরণকারী ২২ জনের পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগীতা দিয়েছিলেন এরপর তাদের পরিবার পরিজনরা সরকারী ভাবে আর কোন সহযোগীতা পায়নী।
ক-বাহিনীর হাতে
কানাইঘাটে গণহত্যায় শহীদ হওয়া ২২জন
গ্রামবাসীর পরিবার সরকারী সুবিধা থেকে বঞ্চিত আবুল হাসনাত (সিলেট) কানাইঘাট থেকেঃ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে কানাইঘাটের প্রায় সাড়ে ৪’শ মুক্তিযোদ্ধা অংশ নিয়েছিল। পাক হানাদারদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে প্রায় দেড় শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এর মধ্যে পাক বাহিনীর হাতে গণহত্যায় শহীদ হওয়া কানাইঘাটে মালিগ্রামের ২২ জন গ্রামবাসীর পরিবার পরিজনরা আজও রয়েছেন সরকারের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গণহত্যায় শহীদ হওয়া এসব পরিবারে বিরাজ করছে মারাত্মক অভাব অনটন। এসব পরিবারের পক্ষথেকে দাবী উঠেছে তাদেরকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্র্Íভুক্ত করে ভাতা প্রদানের।
মুক্তিযোদ্ধা কাযার্লয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধে কানাইঘাটের বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মুখযুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলো ১৯৭১ সালের ভাদ্র মাসের ১৫ তারিখ। তখন কানাইঘাটের সর্বত্র ঢুকে পড়েছে পাকিস্থানী হায়েনারা। পাক বাহিনীর ক্যাপ্টিন বশারতের নেতৃত্বে একটি হানাদার বাহিনী অবস্থান নেয় কানাইঘাট ডাক বাংলোয়। এখান থেকে ক্যাপ্টিন বশারত মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমন করার নানা কৌশল অবলম্বন করে। অপরদিকে কানাইঘাটের মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদারদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়তে তাদের বিভিন্ন কৌশলের অংশ হিসাবে ভেঙ্গে ফেলে দরবস্ত-কানাইঘাট সড়কের উপর নির্মিত বিষ্ণুপুর ব্রীজ এবং ঐদিন আক্রমন চালিয়ে হত্যাকরে স্থানীয় ৩ জন আলবদর রাজাকারকে। এতে ক্যাপ্টিন বশারত মালিগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে (১৯৭১ সালের ৩১শে আগষ্ট) সেই ৩ রাজাকারকে হত্যার প্রতিশোধ নিতে ছুটে যায় উপজেলার ৫নং বড়চতুল ইউপির মালিগ্রামে। সেখান থেকে ২৪ জন গ্রামবাসীকে ধরে এনে বিষ্ণুপুর খালের পারে তাদেরকে দিয়ে গণকবর খনন করিয়ে জীবন্ত ১৯ জনকে মাটি চাপা দেয় বিষ্ণুপুর খালের পারে।
এছাড়া বাকী ৩ জনকে গুলি করে হত্যা করে মাটি চাপা দেয় একটু অদুরেই। পরে ক্যাপ্টিন বশারতের নেতৃত্বে পাকিস্থানী হায়নারা মালিগ্রামে গিয়ে আরো ৭৪টি বসতঘর পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া ঐ গ্রামের নিরীহ জনসাধারণের উপর চালায় পাশবিক নিযার্তন। ১৯৭১ সালের ১লা সেপ্টেম্বর পাক বাহিনীর জল্লাদ ক্যাপ্টিন বশারতের হাতে কানাইঘাটের মালিগ্রামের শাহাদাৎ বরণকারীরা হলেন- ৫নং বড়চতুল ইউপির মালিগ্রামের বতু মিয়া, চান্দ আলী, খলিলুর রহমান, আব্দুল ওহাব, আব্দুল কাদির, আব্দুল মুতলিব, জহির আলী, তবারক আলী, ইসরাক আলী, মোবারক আলী, তুতা মিয়া, শওকত আলী, আব্দুল খালিক, আব্দুর রশিদ, শামছুল হক, খুরশেদ আলী, ছিফত উল্লাহ, ওয়াজি উল্লাহ, কনু মিয়া, খুরবান আলী, আরব আলী, ইউসুফ আলী।
এদিকে কানাইঘাাটের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নজমুল হক ও নুরুল হক জানান, ১৯৭১ সালে পাকবাহীনি এদেরকে বাড়ী থেকে ধরে এনে গণকবর দিয়েছিল। তাই তারা মুক্তিযোদ্ধার আওতায় পড়েনা। তারা বলেন ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু উক্ত গণকবরে গণহত্যায় শাহাদাৎ বরণকারী ২২ জনের পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগীতা দিয়েছিলেন এরপর তাদের পরিবার পরিজনরা সরকারী ভাবে আর কোন সহযোগীতা পায়নী।