প্রতিনিধি ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯ , ১:০০:১৮ অনলাইন সংস্করণ
ভাটি বাংলা ডেস্কঃ সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক সরবিন্দু দাসের শিশু ধর্ষণ চেষ্টার খবর বুধবার থেকে দোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে।
তীব্র ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকায় আওয়ামী লীগ নেতার জোরপূর্বক বাসায় নিয়ে শিশু ধর্ষণের চেষ্টা খবরে দলের ভিতরও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্ততি কমিটির এক সদস্য বলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে গুরুতর ও জঘন্য ঘটনায় সামান্য শাস্তি দিয়ে ধর্ষককে আইনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন কিন্ত দলীয়ভাবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করতে তাদের কোনো তৎপর এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি তা অত্যান্ত দুঃখজনক।
দিরাই আওয়ামী লীগ এমনিতে বিভিন্ন কারণে ইমেজ সংকটে রয়েছে তারপর এই ঘটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হলো। আমরা এই কুলাঙ্গার কে দল থেকে অনতিবিলম্বে বহিস্কার দাবি করছি।
প্রসঙ্গতঃ পৌর সদরের মজলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা সরবিন্দু দাস পাশের বাসার ৭/৮ বছরের এক মুসলমান মেয়েকে জোরপূর্বক বাসায় নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। মেয়েটির চিৎকার শুনে তার মা ও আশে পাশের বাসার লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করেন।
বুধবার সকাল ৮ টার দিকে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি শুনে মেয়েটির আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশি লোকজন এসে সরবিন্দুর বাসা ঘেরাও করে গ্রেফতারসহ বিচার দাবি করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দিরাই পৌরসভার মেয়র মোশাররফ মিয়া, দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়সহ দলীয় নেতারা উপস্থিত হয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। দুপুর ১২ টার পর সকলের উপস্থিতিতে ন্যাক্কারজনক ঘটনাকারী সরবিন্দুকে গলায় জুতার মালা পড়ানো ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে গ্রামের ফান্ডে জমা দেয়ার রায় ঘোষণা করেন বিচারকরা।